কিডনিজনিত সমস্যায় অসুস্থ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তর শাহার চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য ১লক্ষ ১১ হাজার ৫২০টাকা হস্তান্তর করেছে নিজ বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের কক্ষে এ টাকা হস্তান্তর করেন ১১ তম ব্যচের শিক্ষার্থীরা । অন্তরের পক্ষে এ টাকা বিভাগীয় প্রধান ও তার সহপাঠীরা গ্রহণ করেন।
এছাড়াও ইংরেজি বিভাগের ৭ম ব্যাচের পক্ষ থেকে ২৮ হাজার ৩০০ টাকা, ২য় ব্যচের তারিন ১০ হাজার টাকা, ৩য় ব্যাচের রেনেসাঁ আহমেদ সায়মা ২৫ হাজার টাকা, ৬ষ্ঠ ব্যাচের অনি ১০হাজার টাকা এবং সাংবাদিকতা বিভাগের ১৩ তম ব্যাচের ইমরুস দিয়েছে ১০ হাজার টাকা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ হাবিবুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবুল হায়েত এবং ছাত্র উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক রেনেসাঁ আহমেদ সায়মাসহ বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
এই সময় বিভাগীয় প্রধান বলেন, অন্তর আমাদের পরিবারের একজন সদস্য, আমরা যদি তাকে সুস্থ করে তুলতে পারি তাহলে আমরা সফল। অন্তর তার পরিবারের একমাত্র ছেলে, আর আমরা যে করে হোক তার মায়ের মুখ উজ্জ্বল করব। এছাড়া যারা অন্তরের চিকিৎসার জন্য সাহায্য করেছে, তাদের কে অনেক ধন্যবাদ। আমাদের বিভাগের পক্ষ থেকে একটা পরিকল্পনা করেছি। একজন বিসিএস ক্যাডারের মাধ্যমে আমরা ওয়েবনার চালু করব। সেইখানে একটা নির্দিষ্ট ফ্রি দিয়ে রেজিষ্ট্রেশনের ব্যাবস্থা করব। যাতে টাকা গুলো অন্তরের চিকিৎসার জন্য কাজে লাগাতো পারি। তাই আমি সবাইকে অনুরোধ করব আপনারা সবাই ওয়েবনারে অংশগ্রহণ করবেন।
ছাত্র উপদেষ্টা রেনেসাঁ আহমেদ সায়মা বলেন, আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ১১ তম ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীদের এবং যারা অন্তরের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের প্রতি। আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একটি অংশ। তাই আমি সকল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি আপনারা অন্তরের পাশে থাকবেন।
উল্লেখ্য, দুইটা কিডনি ডেমেজড্ অবস্থায়ই তিন বছর আগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন অন্তর শাহা। অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারেননি, তাই গোপন রেখেছিলেন নিজের ভয়ংকর ব্যাধির কথা। সহপাঠীরা জানলে তাদের উদ্যোগে শুরু হয় অন্তরের চিকিৎসা।
কিডনির ব্যবস্থা করতে পারলেও টাকার কারনে আটকে আছে চিকিৎসা। বাঁচতে হলে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে, প্রয়োজন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা। এত পরিমাণ অর্থ তার পরিবার কিংবা সহপাঠীদের জন্য যোগাড় করা প্রায় দুঃসাধ্য।
Leave a Reply