একসময় ঈশ্বরদীতে অবস্থিত পাবনা সুগার মিলটি লাভের মুখ দেখলেও পরবর্তীতে প্রতি বছরই লোকসান হতে থাকে। লোকসানের কারণে মিলটি ছিলো ধ্বংসের পথে। অবশেষে বন্ধ হয়ে গেল মিলটি। বন্ধের গুঞ্জনে এরই মধ্যে প্রতিবাদে শ্রমিকরা রাজপথে নেমেছে কয়েকবার।
প্রতি মৌসুমে কোটি কোটি টাকা লোকসানের বোঝা ও নানা সংকটে চিনিকলটি পরিণত হয় অতি রুগ্ন শিল্পে।
ষাটের দশকে প্রতিষ্ঠত চিনি শিল্প করপোরেশন যাত্রা শুরু হয়। দেশে শিল্পের বিকাশ ও কর্মসংস্থানের লক্ষে মিলগুলো প্রতিষ্ঠিত হলেও সময়ের পরিবর্তনে আজ রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে পড়েছে চিনি শিল্প। সরকারের সঠিক পদক্ষেপের অভাবে ১৫ টি চিনি কলের মধ্যে মাত্র একটি লাভের পথে, দুইটি কলের সক্ষমতা ৫০% এর উপরে আর বাকি গুলো পথ হারিয়ে মুখথুবরে পড়ে লাইফ সাপোর্টে আছে। সার্বিক উৎপাদন ক্ষমতা ও ব্যায় বৃদ্ধি, অস্বাভাবিক দুর্নীতি সহ নানা কারনে মিলগুলোর লোকসান হয় প্রতিবছর। ধারাবাহিক লোকসানে সরকার ভর্তুকি দিতে দিতে হাপিয়ে উঠেছে। এ কারনে মিলগুলো নিয়ে সরকার নড়েচড়ে বসেছে। সরকার মিলগুলোর হিসাব নিকাশ করতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করে। ২০২০-২০২১ মাড়াই মৌসুমে এই কমিটির সুপারিস করে নয়(৯) টি মিল মাড়ায়ে থাকবে বাকী ছয়(৬) টি মিলে মাড়াই বন্ধ থাকবে। বন্ধ ৬ টির মধ্যে আছে কুষ্টিয়া সুগার মিল। তবে কমিটি সূত্রে জানা যায়, বন্ধ হয়ে যাওয়া মিল গুলোর কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে চালু ৯ টি মিলে বদলি করা হবে আর কিছু নিজস্ব মিলেই থাকবে।
Leave a Reply