আজ ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের তোপের মুখে পড়ে সকাল ১১ ঘটিকা ও দুপুর ২ ঘটিকার অনুষ্ঠিতব্য কর্মকর্তাদের আপগ্রেডেশন বোর্ড অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্মের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এই আপগ্রেডেশন নিয়ে গতকাল অফিসার্স এসোসিয়েশনের ৪ জন কর্মকর্তার আপগ্রেডেশন অবৈধ ও নিয়ম পরিপন্থী বলে অভিযোগ তুলেন এবং রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন পাবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশন। ঐ স্মারক লিপিতে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পূর্ববর্তী নির্দেশনা অমান্য করে নতুন করে ৪ জন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার/অতিরিক্ত পরিচালক পদে ২৬ সেপ্টেম্বর গোপনে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে অতিরিক্ত পদে পদন্নোতি দেওয়ার চক্রান্ত চলছে বলে তারা মৌখিকভাবে অবগত হয়েছেন। এই চার জন কর্মকর্তা হলেন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং উপাচার্যের ব্যাক্তিগত সচিব মো. মনিরুজ্জামান, অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ পরিচালক জিএম শামসাদ ফখরুল,উপ-রেজিস্ট্রার শাওলী শারমিন, জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক ফারুক হোসেন চৌধুরী।
এ সময় পাবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি হারুনর রশিদ ডন বলেন-ভিসির পিএসসহ ৪ জনের অবৈধ আপগ্রেডেশন না দিতে পারায় বৈধ কমর্কতাদের বোর্ড বন্ধ করেছে ভিসি। এ সমস্ত কর্মকাণ্ড অনৈতিক। পাবিপ্রবিতে কখনো এমন ঘটনা না ঘটে সেই বিষয়ে আমরা সজাগ আছি এবং আগামীতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে উক্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন বলেন, ভাইস চ্যান্সেলর অবৈধ আপগ্রেডেশন না দিতে পেরে বৈধ আপগ্রেডেশন স্থগিত করেছেন যা দু:খজনক আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আশা করি নাই, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন অন্যায়- অনিয়ম করতে দেওয়া হবে না। কোন অপশক্তি আমাদের পথকে রোধ করতে পারবে না। এ সময় অপকর্মের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
Leave a Reply