ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ শেষ না করেই উদ্বোধনের কথা উঠেছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে সাদা কাপড়ে ভাস্কর্যের নিচের অংশ মুড়িয়ে এবং লাল গালিচা ব্যবহার করে অসম্পূর্ণ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নজরুল ভাস্কর্য’টি উদ্বোধন করা হয়েছে। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর প্রমুখ। এর আগে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যেরও উদ্বোধন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উদ্বোধনের পরপরই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য থেকে পলেস্তারা ও টাইলস খসে পড়তেও দেখা গিয়েছিলো।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ ২০১৯ সালের জুন-জুলাই মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চার বছরেও তা সম্পন্ন করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুতিয়া করপোরেশন। ৪২ লাখ টাকায় দুটি ভাস্কর্যের বেদি নির্মাণকাজ শেষ করার কথা থাকলেও সেই ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ টাকায়। বছরের বেশিরভাগ সময় কাজ বন্ধ থাকলেও বেদির নকশা পরিবর্তন করার অজুহাতে সময়ে সময়ে প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধি করে প্রতিষ্ঠানটি।
ভাস্কর্যের উদ্বোধন প্রসঙ্গে পরিকল্পনা ও ওয়ার্কার্স দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, “যতটুকু হইসে করোনা পরিস্থিতিতে ততটুকু করা হয়েছে। কাজ সম্পূর্ণ করেই যে উদ্বোধন করতে হবে তা কিন্তু নয়। এই অবস্থাটাকে শেষ বললেও সমস্যা নেই। এখন আমি যদি বলি স্বর্ণ দিয়ে মোড়াবো, টাইলস লাগাবো তার জন্যে তো সময় রয়েছেই। আমার পারপাস সার্ভ করার জন্যে যে অবস্থায় আছে তা যথেষ্ট।”
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, “কাজ সম্পূর্ণ করে উদ্বোধন করতে পারলে ভালো হতো কিন্তু কবির জন্মদিনের বিশেষ দিনটিতে আমরা উদ্বোধন করতে চেয়েছি। অবশিষ্ট কাজ আগামী এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। সেদিকে নজর রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।”
উল্লেখ্য, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ২৫,২৬ ও ২৭ মে তিনদিনব্যাপী অনলাইন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Leave a Reply