আজ মহা নবমী। কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই আয়োজন।
কাল সোমবার গজে চড়ে ভক্তদের কাঁদিয়ে কৈলাসে চলে যাবেন ত্রিণয়না দেবী দূর্গা। দেবীকে প্রাণভরে দেখতে আর শেষ প্রার্থনা জানাতে সকাল থেকেই খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ির মণ্ডপে মণ্ডপে ভীড় হয়।
কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মহা নবমীর আয়োজন। পূজা শেষে চলে পুষ্পাঞ্জলী ও প্রসাদ বিতরণ সন্ধ্যায় রয়েছে ভোগ আরতি। ধুপ ধোঁয়া আর ঢাক বাদ্যে চলে দেবীর আরাধনা।
পানছড়ির পূজামণ্ডপগুলোতে দিনব্যাপী ধুপ-ধোঁয়া, ঢাক-ঢোল বাদ্য একটু পর পর বাজছে।
পানছড়িতে এবার ১০টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে, যার মধ্যে ০১টি ঘট পূজা।
পানছড়ির বিভিন্ন মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, সকালবেলা পূজামণ্ডপ গুলোতে তেমন কোনো ভীড় লক্ষ্য করা যায় নি। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভালো রকমের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ভক্ত দর্শনার্থীরা দেবী দুর্গাকে দর্শণ করতে আসছেন।
কয়েকজন দর্শনার্থীর সাথে কথা বললে তারা জানান, আগের বারের মত তেমন কোনো বড় ধরণের আয়োজন নেই সীমিত পরিসরে সবকিছু, তারপরও অনেক ভালো। তারা বাংলাদেশ সহ পুরো বিশ্বব্যাপী যে করোনার প্রাদুর্ভাব এটা থেকে মুক্তির জন্য দেবী দূর্গার কাছে প্রার্থনা করেন।
পূজা মণ্ডল ঘুরে এসে আরো কিছু দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কুরাদিয়াছড়া সর্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপের প্রতিমাগুলি তাদের কাছে ভালো লেগেছে। কারণ প্রতিমার পরণে ছিল ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের পোশাক (রিনাই ও রিচা)। এমন প্রতিমা দেখে মুগ্ধ তারা।
কুরাদিয়াছড়া দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর প্রত্যেক মন্দিরে একই ধরনের প্রতিমা পোশাক তৈরি করা হয়। যেহেতু ওই এলাকায় ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা সম্প্রদায়ের বসবাস তাই তারা চেয়েছেন তাদের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা রক্ষায় তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
Leave a Reply