“আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জীর; ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা; প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমন বার্তা।।” মহালয়ার ভোরে আপামর বাঙালির ঘুম ভাঙে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের (Birendra Krishna Bhadra) গলায় মহিষাসুরমর্দিনীর স্তোত্রপাঠে। শরতের আকাশে পেজা তুলোর মত মেঘ এবং মাঠে-ঘাটে কাশফুল জানান দেয় মা আসছে। মা দূর্গা মর্তে আসছেন। তার জন্য় বাঙালির মনে তো এক আনন্দ থাকেই, অন্যদিকে মহিষাসুরমর্দিনী প্রবাসী বাঙালির মন করে তোলে ভারাক্রান্ত।
মহালয়ার এই দিনে অশুভ শক্তির বিনাশ হয়ে জাগরিত হবে শুভ শক্তি। ভোর পেরিয়ে সকাল হতেই শুরু হবে শুভেচ্ছা বিনিময়।
পুরাণমতে, অশুভ অসুর শক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোক থেকে বিতাড়িত হয়। আর সেই দাম্ভিকতায় মহিষাসুর এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের অধীশ্বর হতে চায়। এই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে একত্র হন দেবতারা। তখন দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা। অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত দেবী অসীম শক্তিতে পরাজিত করেন মহিষাসুরকে। মহালয়ার সময় ঘোর অমাবস্যা থাকে। তখন দুর্গা দেবীর মহাতেজের আলোয় সেই অমাবস্যা দূর হয়। প্রতিষ্ঠা পায় শুভশক্তি।
শ্রী শ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। আর এই ‘চণ্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশস্তি। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো এই মহালয়া।
Leave a Reply