আমার ইচ্ছা একদিন “আদ্য” একটি ব্র্যান্ড হবে
আমরা যা করতে ভালোবাসি, সেটাই করতে থাকি। সাফল্য নিজেই ধরা দেবে আমাদের কাছে।যারা সফল হয়, তারা সফল হওয়ার আগে থেকেই সফল মানুষের মত আচরণ করে।
এই বিশ্বাসই একদিন সত্যিতে পরিনত হয়। আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে আপনি অবশ্যই সফল হবেন, তবে আপনার ব্যবহারেও তা প্রকাশ পাবে এবং আপনি নিজেই নিজের এই দৃষ্টিভঙ্গীর সুফল দেখে অবাক হয়ে যাবেন।
বর্তমানে অনেক তরুণের মনে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন উঁকি দিচ্ছে।তেমনি করে একজন তরুণী উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ সারাবেলার প্রতিনিধি “তানজিলা আক্তার লিজা”।
আমি শামিয়া আলী, আমি পড়াশুনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে, হিসাববিজ্ঞান বিভাগে। আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। খুব ছোট বেলা থেকেই কিছু করার ইচ্ছে ছিল। এক সময় মহামারি করোনার মতো অদৃশ্য দৈত্যের মুখোমুখি হলাম। তখন মনে হলো যাদের টাকা কম তাদের বেঁচে থাকা মরে যাওয়ার সমতুল্য। কারণ বিশ্ব বাজার প্রায় কর্মশূন্য। আর তখনি মনে হলো হালাল একটি শক্ত উপার্জন দরকার।
আমার মামাতো বোন শিফা আপু বুদ্ধি দিলেন অনলাইনে অনেক কিছু করতে পারা যায়।আমি বিসিক থেকে ২০১৯ এর মার্চে ফ্যাশন ডিজাইন এর উপর দ্বি-মাসিক একটি কোর্স করেছিলাম।
আমি আরো উৎসাহ পেলাম। তখন YEESBD নামের একটি অনলাইন গ্রুপে শ্রাবণী রায় আপুর ইনভাইটেসনের মাধ্যমে যুক্ত হলাম। এবং আস্তে আস্তে সব কিছু শুরু করলাম।
নাম ঠিক করলাম “আদ্য” / “ADDO” কারণ আদ্য মানে শুরু। আমি শুরু করলাম।এটি একদিনের সৃষ্টি নয়।শুরুটা ২৬/০৭/২০২০ হঠাৎ মনে হলো নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় দরকার। ঠিক তখনি আমার পরিবারের সহায়তায় পেইজটা শুরু করলাম।এটা দাড়ঁ করতে আমাকে সাহায্য করেছে আমার মা বাবা, আত্মীয় এবং বন্ধুরা। তাই এখন এটি করছি পড়াশুনা, চাকরির পাশাপাশি।
আমার খালাতো বোন নাহিদ আপু আমাকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছেন। আমার প্রথম অনলাইন ক্রেতা ছিলেন শামিমারা রূপা আপু।আর সর্বপরি আমার মা বাবা ছিলেন আমার চলার পথের অন্ধকারের মশাল।
আমরা এখানে বিভিন্ন থ্রি পিস, হ্যান্ড পেইন্ট করা থ্রি পিস, গুঁড়া সাবান ( সাফ ডিটারজেন্ট পাউডার ) বিক্রি করে থাকি।
আমার স্বপ্ন একদিন “আদ্য” একটি ব্র্যান্ড হবে তখন সবাই এক নামে চিনবে।
লেখকঃ শামিয়া আলী,
হিসাববিজ্ঞান বিভাগ,
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ।
Leave a Reply