ঈশ্বরদী আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন আহত নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বাংলাদেশ সারাবেলা এর সাথে কথা বলেছেন উভয় পক্ষের আহত নেতৃবৃন্দ।
পাবনার ঈশ্বরদীতে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের ভেতরে-বাইরে দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে জানা যায় উপজেলা কার্যালয়ে আসন্ন উপনির্বাচন নিয়ে সভা চলছিলো।সেখানে পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টু এবং পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক মালিথার মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়।এরপর উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে উপজেলা কার্যালয়ের সামনে আসলে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।সংঘর্ষে মেয়র মিন্টু,পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক মালিথা, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা সজীব মালিথা,কৃষক লীগ নেতাআবু বকর মালিথা,যুবলীগ নেতা শফিকুল,আলমগীর, কালামসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ২ জন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ আহতরা পাবনা ও ঈশ্বরদীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েও ছাড়পত্র দেয়া হয়।
এদিকে সংঘর্ষের সময় কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের আওয়ামীলীগ ও অংগসংগঠনের নেতাকর্মীরা কার্যালয়েই উপস্থিত ছিলেন।
সংঘর্ষের বিষয়ে আহত পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক মালিথা বলেন “আসন্ন পৌর নির্বাচনে আমার প্রার্থীতা ঘোষণার জন্যই আমার উপরে হামলা হয়েছে। ”
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক সজীব মালিথা বাংলাদেশ সারাবেলাকে বলেন “হামলা হয়েছে পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা হামলা করি নি।তবে আমাদের ধাক্কায় কেউ আঘাত পেতে পারে।”
এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন “আসন্ন উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে বিজয়ী করতে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতেই তাদের উপর হামলা হয়েছে। ”
পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন সোহাগ বলেন “বিএনপি জামায়াতের কিছু অনুপ্রবেশকারী এই হামলায় জড়িত।”
ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন সনেট বলেন “পৌর মেয়র মিন্টুর জনপ্রিয়তাই ভীত হয়ে,আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে বেকায়দায় ফেলতে বিএনপি জামায়াত থেকে অনুপ্রবেশকারীরা এই হামলা চালিয়েছে। এতে আওয়ামীলীগের অনেক নিবেদিত প্রাণ আহত হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় ঈশ্বরদীজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আওয়ামীলীগ কার্যালয় সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
Leave a Reply