একান্ত প্রয়োজনে
একান্ত নিস্প্রয়োজনে তোমাকে
জাগাতে আসিনি কাঁচা ঘুমে
তুমি তো আমাকে জানো
অতএব বিশ্বাস রাখতে পারো।
এত রাতে কেউ বাড়ি ছেড়ে আসেনা
শত্রুর ঘরে নিস্প্রয়োজনে
একদিন ঝড়ের রাতে
স্বপ্নের ছায়াঘন নীল আধারে!
আমার পৃথিবী কম্পমান
দীঘল বিজলী চমকে
তোমার নামের স্বর্নিল অক্ষরে
প্রতিটি আঁকাবাঁকা রেখায়!
আমার বুকের ভেতর বাজ পরছিল
বিশ্বাস করো সেই রাতের কথা
তোমাকে না হয় জাগাতে আসতাম না
এত রাতে কাঁচা ঘুমে।
দুপুরের খড় রোদে
চৈত্রের ভূমি ছেড়া হয়ে গেছে
আমি তো সেই কবেই মুড়িয়ে দিয়েছি
ভালবাসার গাছপালা!
আবার শিকরে উঠেছে
তোমার নৈশ আনা গোনায়
এক খন্ড ধাতব তার কেঁপে উঠে
প্রতিনিয়ত এই শব্দে!
নবাবগঞ্জের কোন তেতলা হতে
ছুড়ে ফেলা একটি সিগারেট
নদীর জলে পরে ছ্যাক করে উঠে
আজো মর্মমূল ভেদ করছে!
তুমি তো জানো
বিনিদ্র আমি ভীষণ ক্ষেপা
নেকড়ে না হয় আস্ত ভল্লুক
চষে বেড়াবো সারা শহর।
নিচ্ছিদ্র রাতের আধারে
তাজা রক্তের গন্ধে
চিৎকার করে উঠবে নিয়ন বাতি!
নগর বাসিরা সারিবদ্ধ হয়ে দেখবে
তোমার চোখের তারায়
ভেসে বেরানো একজন যুবকের লাশ!
দালির ঘড়িগুলো
একত্রে বেজে বেজে
ভেংগে পরবে
একটা বিচিত্র কান্নায়!
একান্ত নিস্প্রয়োজনে তোমাকে
জাগাতে আসিনি কাঁচা ঘুমে।।
লেখাঃ মেহরীন মুমু, শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,গোপালগঞ্জ।
Leave a Reply