কবিতাঃ তাকে বলে দিও
তাকে বলে দিও,
দ্বিপ্রহরের মিহি বাতাসে স্বপ্নালু চোখ ভাসিয়েছি দিগন্তে।
থেকে গেছে তাদের জগৎে, ফিরে আসেনি আর।
পুরানো অ্যালবাম থেকে খসে পড়েছে একটি তাঁরা।
যে তাঁরাতে আলোকময় ছিল আমার বিশ্বব্রহ্মাণ্ড।
তাকে বলে দিও,
তোমাদের শহুরের চিত্রিত জীবন থেকে অব্যাহতি টেনে ভ্রম্যচারী জীবনের সুখ খুজে পেয়েছি।
বিছিন্ন,খন্ড খন্ড হৃদয়ের জোড়াতালিতে হৃতরাজ্যর প্রাসাদ গড়েছি।
ক্যানভাসের জড়তাকে জীবন্ত করে তুলেছি তুলির আঁচড়ে।
তাকে বলে দিও,
কলকল্লোলে মুখোরিত প্রবহমান নদীর বিপরীতে নৌকা ভাসিয়েছি মহাকাল ধরে।
আমূল বদলে যাওয়া পুরানো জীবনের সূচনা করেছি শূন্য থেকে।
উপহাসের প্রতিশ্রুতির উপহারের সন্ধ্যানে,
কালো চাঁদটির জন্য পাড়িজমিয়েছি চন্দ্রলোকে।
তাকে বলে দিও,
মহাদেব সাহর কবিতাগুচ্ছ নিয়ে এখনো অপেক্ষা করি জারুল বৃক্ষতলে।
অভিমানের যত আয়োজন ছিলো ছোট্ট খঁড়ের কুঁঠরিতে,
সব দেনাপাওনা চুকিয়ে পরিশুদ্ধ জীবনের মানুষ বনিয়েছি।
নিমপাতার তিক্তরসে আমি এখন অমৃতের স্বাদ উপভোগ করি।
তাকে বলে দিও,
সে আমার দৈব প্রাপ্তি নয়,
বরং সে আমার তপস্যা।
ঘুন ধরেছে সোখিন ভালোবাসার ফ্রেমে,
অধ্রুব শব্দগুলো কুরে কুরে খাচ্ছে উইপোকার দল।
তাকে বলে দিও,
আমি ভালো আছি!
ভীষণ রকম ভালো আছি!!
লেখকঃ সজিব হোসাইন,
কুয়াদা বাজার, যশোর।
Leave a Reply