কাছারীপট্টির সরকারি জায়গা দখল করেছে উপজেলা প্রশাসন।ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে ছোট বড় মিলে প্রায় ১শ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর দোকান ঘর।ফলে চরম বিপাকে পড়েছে ঐ সমস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসীরা।তাছাড়া বাজারে যাওয়া আসার প্রধান পথটি বন্ধ হওয়াই চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকার জনসাধারনের মাঝে। সরোজমিনে গিয়ে দেখাযায়, বাগআঁচড়া বাজারে শতাধিক দোকান ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে তরকারি, মুরগীর ও বীজের দোকানসহ প্রায় ১’শ টি দোকান রয়েছে।তাছাড়া কাঁচারী পট্টিদিয়ে মুল বাজারের মধ্যে যাওয়া আসার সড়কটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যে সড়কটি দিয়ে বাগআঁচড়া, কায়বা, শংকরপুর ও কেরালকাতা ইউনিয়নের দিনে ৫/৭ হাজার মানুষের যাতায়াত। তরকারি ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বলেন, আমি গরিব মানুষ অল্প টাকা পুজি নিয়ে ব্যাবসা করে আসছি ১০ বছর ধরে। আমার দোকানটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। আমার বাচ্চাদের লেখাপড়া ও ৬ জন মানুষের সংসার চলে এই ছোট্ট দোকানটিতে আমি এখন কি করবো কোথায় যাবো, কিভাবে চালাবো এই সংসার? মুরগী ব্যবসায়ী সুমন বলেন, আমার আব্বু দোকানদারি করতো ১৫ বছর ধরে। আমার বয়স ১২ বছর হলে আব্বু মারা যায়। আমার ২ বোন আর অসহায় মাকে নিয়ে আমার সংকট ময় সংসারটি এই দোকানের উপর চলতে থাকে। কিন্ত কিকরবো দিশেহারা হয়ে পড়েছি।এমন সব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ির অভিযোগ। এ বিষয়ে ৮ নং বাগআঁচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ খালেকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটাতে আমার কিছু করার নাই। ভুমি অফিসের জায়গা দখলে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আমি কি করতে পারি।তবে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র দোকানদারদের পূর্ণবাসন করবেন বলে তিনি জানান। শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রাসনা শারমিন মিথী জানান,ভূমি অফিসের ৬৪ শতক জায়গায় অবৈধ দোকান ভেঙ্গে সেটা দখল নেওয়া হয়েছে। যে গুলো বৈধ আছে সেই ঘর গুলো অক্ষত অবস্থায় আছে। বর্তমানে রাস্তা বন্ধ করে প্রাচীর নির্মান করে রাখা হবে। পুর্বের রেকর্ডের রাস্তা খুলে দেওয়া হবে। আর ক্ষতিগ্রস্ত দোকাদারদের বিষয়ে তিনি বলেন বাজার কমিটির সভাপতিকে বলে এসেছি এদের একটা ব্যাবস্থা করতে।
Leave a Reply