কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষাথীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ১৬ বছর পর পেয়েছ স্মার্ট আইডি কার্ড। আইডি কার্ড পাওয়া শিক্ষাথীদের বেশ আনন্দ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেলেও পূর্বে আবেদন না করা অনেকেই এখন খুঁজে বেরাচ্ছে নতুন করে আবেদনের উপায়।
পূর্বে আবেদন না করা একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায় তারা নতুন করে আবেদন করার সুযোগ চায়।
এ বিষয়ের ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ইতোপূর্বে যখন আইডি কার্ড এর জন্য ফর্ম জমা নেয় তখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম না। এজন্য আবেদন করতে পারি নি। এখন বুঝতে পারতেছি এটা কতটা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নতুন করে আবেদন করার সুযোগ দিলে আমাদের জন্য খুব ভালো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রকাশ পাল বলেন, নতুন আইডি কার্ড ইস্যু না করার অন্যতম কারণ হচ্ছে হলে হলে না যাওয়া। নিজের অলসতার কারণেই গতবার করতে পারিনি। তবে এখন আবার আবেদনের সুযোগ পেলে করে ফেলবো।
নতুন করে আইডি কার্ড পাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক মো.সাহেদুর রহমান বলেন,
আগে যারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবদেন করেছিলো তারা সবাই ইতিমধ্যে স্মার্ট আইডি কার্ড পেয়েছে। তবে যারা আবেদন করেনি তারা চাইলে এখন আবেদন পত্র সমগ্র করার মাধ্যমে আবার আবেদন করতে পারবে। শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ হল থেকে ১৫০ টাকা দিয়ে ফর্ম সংগ্রহ করার মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এরপর আমাদের কাছে নির্দিষ্ট সংখ্যক ফর্ম জমা হলে তা একটি লটের মাধ্যমে পাঠানো হবে আইডি কার্ডের জন্য। ফর্ম লট আকারে পাঠানোর ৭- ১০ দিনের মধ্যে আইডি কার্ড শিক্ষার্থীদের হাতে পৌছে দেওয়া সম্ভব।
একই বিষয়ে জানতে চাইলে কবি নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্ট সহকারী অধ্যাপক মিহির লাল ভৌমিক জানান,
আমার হলে ইতিমধ্যে নতুন করে আবেদন ফর্ম জমা নেওয়া হচ্ছে। যারা আগে আবেদন করেনি তারা এখন নতুন করে ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে পারবে। এটি যেহেতু চলমান প্রক্রিয়া অর্থাৎ আবেদন ফর্ম জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই তাই যে কেও যেকোনো সময় আইডি কার্ডের জন্য আবেদন ও জমা দিতে পারবে। তবে এটি যেহেতু প্রয়োজনীয় তাই যারা আবেদন করেনি তাদের উচিত দ্রুত আবেদনের মাধ্যমে আইডি কার্ড সংগ্রহ করা।
উল্লেখ্য, ১২ অক্টোবর (বুধবার) ভিসি দপ্তরে উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন শিক্ষার্থীদের গলায় আইডি কার্ড পরিয়ে উদ্বোধন করেন।
Leave a Reply