হিসনা নদীর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে এলাকার প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা! নদী দখল মুক্ত ও পুনঃ খনন এর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এক সময়ের ক্ষরস্রোতা নদী হিসনা নদী, এখন তার ঐতিহ্য হারিয়ে মৃত প্রায়। প্রভাবশালী দখলদারদের দখলে হারিয়ে চলেছে আয়তন। এই নদী ভেড়ামারা উপজেলা হয়ে দৌলতপুর উপজেলার কোল ঘেঁষে মিরপুর উপজেলা দিয়ে বহমান ছিল এখন মৃতপ্রায়।
যে হিসনা নদীর একসময় ছিল পূর্ণ যৌবন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে উঠতে যার বুক চিরে, চলতো বড় বড় লঞ্চ-টলার। সেসব কথা এখন কেবলই ইতিহাস। নতুন প্রজন্মের কাছে অবিশ্বাস্য গল্প। সেই হিসনা নদী এখন পশুদের চারণভূমি আর কৃষকের ধান চাষের ক্ষেতে পরিণত
হয়েছে। দুই তীর দখল করে এখানে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবনের পাশাপাশি আধাপাকা ঘরবাড়ি-দোকানপাটসহ বিভিন্ন ধরণের স্থাপনা। প্রয়োজনীয় সংস্কার না করায় ও খননের অভাবে হিসনা
নদী আজ মৃতপ্রায়। কালের বিবর্তনে এখন এ নদী মরা খালে পরিণত হয়েছে।
একসময় নৌকা চলতো কিন্তু এখন আর নৌকা চলার মত অবস্থা নেই, অনিয়ম আর সেচ্ছাচারিতায় ভরা হিসনা নদীতে ইজারাদাররা। একদিকে বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা পাট জাগ দিতে পারছেনা অপরদিকে কৃষকরা হিসনাতে ইজারাদারদের কারণে পাট জাগ দিতে পারছেনা, কতিপয় ব্যক্তি জাগ দিলেও তাকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে জাগ দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসব এলাকার প্রকৃতির উপর পড়েছে বিরুপ প্রভাব , নদী মাতৃক দেশ এই বাংলাদেশ নদীর গভীরতা হারানোর কারণে নেমে আসছে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ। হারিয়ে যাচ্ছে নদীর মাছ, সৌন্দর্য, ক্ষরস্রোতা।
অপরদিকে ভেড়ামারার কাঠেরপুল এলাকায় অবস্থিত হিসনা নদী এখন গুটি কয়েক প্রভাবশালী ভূমিদস্যু দখলদারদের ভূমিদস্যুরা হিসনা নদীর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে দোকানপাট ও বাড়িঘর নির্মান করে দখলে রেখেছে। এলাকাবাসী হিসনা নদীকে দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত করতে একাধিকবার প্রশাসনের দারস্ত হলেও প্রশাসন অবৈধদখলদারদেকে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে কোন দখলমুক্ত আজও করতে পারেনি।
ভূমিদস্যুরা নদীর জায়গা দখল করে বড়বড় বিল্ডিং করে রেখেছে। মাত্র কয়েকজন বিত্তশালী ভূমি দস্যু দখলদারদের কবল থেকে ঐতিহ্যবাহী হিসনা নদীর মুক্তির জন্য একাধিকবার সভা সমাবেশ ও মানববন্ধন করেও অবৈধদখলদারদের উচ্ছেদ করা যায়নি। অবিলম্বে হিসনা নদীর জায়গা অবৈধ দখলমুক্তসহ পুনঃখননের মাধ্যমে নদীর ঐতিহ্য নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
Leave a Reply