গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে “বৃহত্তর ফরিদপুর” এর জন্য ২০% কোটা বরাদ্দ রাখার বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়। এর বিরোধিতা করে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়।এদিকে আজ বুধবার কোটার বিরোধিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কিউ.এম. মাহবুবের সাথে বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।বৈঠকে কোটা প্রস্তাবনা বাতিলের জোর দাবি জানালে উপাচার্য যৌক্তিক ব্যাখ্যা জানতে চান।পরবর্তীতে শিক্ষক সমিতির প্রদত্ত ব্যাখ্যার সাথে একমত হয়ে প্রস্তাবিত কোটার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বিবৃতি দেয়া হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয় “একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক প্রস্তাবিত বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার জন্য ২০% ভর্তি কোটা বরাদ্দ ও বাতিলের সিদ্ধান্তে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির বিবৃতি
গত ১৫/০২/২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিল এর ২১ তম সভায় বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার জন্য ২০% ভর্তি কোটা সংরক্ষিত রাখার প্রস্তাবটি শিক্ষক সমিতির নজরে আসে, যা সমিতিকে হতবাক করে। আমরা মনে করি, এই ধরনের মনগড়া ও অন্যায্য প্রস্তাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার পরিপন্থী, যা উচ্চ শিক্ষাকে বাধাগ্রস্ত করবে। একইসাথে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমতার সুযোগ বিনষ্ট করার পাশাপাশি শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশকেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে শিক্ষক সমিতি ১৭/০২/২০২১ তারিখ দুপুরে উপাচার্য মহোদয়ের সাথে জরুরী বৈঠক করে এবং প্রস্তাবিত ২০% কোটা বাতিলের জোর দাবি জানায়। উপাচার্য মহোদয় বিষয়টি সম্পর্কে শিক্ষক সমিতির কাছে বিস্তারিত জানতে চান। আমরা ন্যায্যতার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সার্বিক উন্নয়ন, ও শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করণে কোটা না রাখার জন্য আমাদের যৌক্তিক ব্যাখ্যা তুলে ধরি। উপাচার্য মহোদয় ২০% কোটা বাতিলের যোক্তিক আপত্তির সাথে একমত পোষণ করেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় উপাচার্য মহোদয় কোটা সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
আমরা বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি সর্বদা ন্যায্যতার পক্ষে কাজ করব।”
Leave a Reply