গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম. মাহবুব বলেছেন “কোন অভিজ্ঞতা ছাড়া গত উপাচার্যের সময় পার্ট টাইম শিক্ষক ও অনিয়ম করে কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।”
বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের ডাক এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি কে.এম. ইয়ামিনুল হাসান আলিফ’কে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব বলেন।গত উপাচার্য অনিয়ম করে বিভিন্ন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন “এখানে প্রায় ১৫০ থেকে পৌনে ২০০ লোককে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন।কোন ভোট হয়নি,অ্যাডভার্টাইজমেন্ট হয়নি, সিলেকশন প্রক্রিয়ার মধ্যে যায়নি এবং বৈধ কাগজপত্র কিছু নাই।তারা অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে গেছেন তাদেরকে।এইটা বাণিজ্য করছে। আর সেই বাণিজ্যে আগের ভিসি নাসির উদ্দিন_ও ছিলেন। এখনো এখানে যারা বর্তমানে অফিসার, কয়েকজন আছে তাদের মধ্যে।”
পার্ট টাইম শিক্ষক নিয়োগের সময় কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি মাস্টার্স পাশ ছাত্র নিয়োগ দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি সাক্ষাৎকারে বলেন “এখানে আমাদের শিক্ষক যারা আছে, তার মধ্যে ২০ থেকে ৩০ জন পার্ট টাইম টিচার।পার্ট টাইম টিচার মানে এক জায়গায় টিচার আছে, আর এখানে পার্ট টাইম করে। অথচ এখানকার প্রত্যেকটা পার্ট টাইম টিচার স্টুডেন্ট থেকে সরাসরি এসেছে।মাস্টার্স ডিগ্রি পাস করে গেছে, তাকে ডেকে আনা হয়েছে। ”
সার্টিফাইড ড্রাইভারের অভাব ও হেল্পাররা গাড়ি চালায় উল্লেখ করে তিনি সাক্ষাৎকারে বলেন “এখানে ড্রাইভার আছে ১৫- ১৬ জন। এরমধ্যে সার্টিফাইড ড্রাইভার ৬-৭ জনের বেশি নাই। হেলপার গাড়ি চালায়।”
বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য সাক্ষাৎকারে আরো বলেন “এখানে অধিকাংশের যোগ্যতা নাই। ৫৯ জন এখানে কম্পিউটার টেকনিশিয়ান এবং কম্পিউটার অপারেটরের মধ্যে ৫ থেকে ৭ জনের অভিজ্ঞতা আছে। বাকিদের নাই। “
Leave a Reply