খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সাজাপ্রাপ্ত দুই শিক্ষার্থী তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে প্রশাসনকে বেধে দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষে আমরণ অনশন শুরু করেছিলো। আজ (বৃহস্পতিবার) আমরণ অনশনের দ্বিতীয় দিনের আনুমানিক ৪০ ঘন্টা পার হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরেছেন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমান।
এদিকে, ওই শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবিধান মেনে আত্মপক্ষ সমর্থন অথবা একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করার জন্য গত দুইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালক কয়েক দফা আহ্বান জানান। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থানে অনড় থাকেন।
তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, পাঁচ দফা দাবিতে গত বছরের ১ ও ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করেছিলেন, তাতে তারাও অংশ নিয়েছিলেন। সে কারণে অন্যায়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বছর পর গত ৩১ ডিসেম্বর ইমামুলকে দুই বছর ও নোমানকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করে। অন্যায়ভাবে তাদের এই বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে তারা অনশন চালিয়ে চাবে এবং তাদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এই আন্দোলন শেষ হবে।
এদিকে সকালে ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক শরীফ হাসান লিমন মেডিকেল টিমসহ নোমানের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গেলে তারা চেকআপ করতে অস্বীকৃতি জানান।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমামুল ইসলাম ও বাংলা ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমান তাদের পূর্বঘোষিত আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।
Leave a Reply