কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাংয়ে চলাচল পথ নিয়ে বিরোধের জেরে একটি পরিবারের ওপর দুই দফা হামলা-লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় পরিবারটির নারীসহ চারজন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড়ের উত্তর হারবাং বৃন্দাবনখীল গ্রামের গ্রামের বৃদ্ধ আলী আহমদ (৭০), তার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৫৫), তাদের দুই ছেলে মোঃ নাছির উদ্দিন (৪০) ও শাহাব উদ্দিন (৩৯), সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী নার্গিস সোলতানা (২৫)। আহতদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল ১০ জানুয়ারী সকাল ১১টা ও একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৫ঘটিকার দিকে বৃদ্ধ আলী আহমদের পরিবারের ওপর দুই দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত বৃদ্ধ আলী আহমদের ছেলে মো: সালাহ উদ্দিন বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় ৬জনের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহারে বিবাদী করা হয়েছে একই এলাকার মৃত পুতন আলীর ছেলে মোজাফ্ফর আহমদ (৫৮), মোজাফ্ফরের দুই ছেলে মোঃ রিদুওয়ান (২৫), ও আবু হানিফ (৪৫), আমির হামজার ছেলে বেলাল হোসেন (৩৬), মতিউর রহমানের ছেলে আমির হামজা (৫৫), কামাল হোছনের ছেলে মো: হোছন (৩৫)সহ মামলায় আরো অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে। থানায় দেওয়া অভিযোগে সালাহ উদ্দিন দাবি করেছেন, তাদের বসতবাড়ি সংলগ্ন চলাচলের পথটি পূর্ব-পুরুষের সময়কাল থেকে ৩০-৪০ বৎসর যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে চলাচলের জন্য ব্যবহার করে আসছেন। উক্ত চলাচল পথের সংলগ্ন দক্ষিণ পার্শ্বে বসতঘরও রয়েছে। কিন্তু তাদের এলাকার মোজাফ্ফরের ছেলেরা চলাচল পথের জায়গায় বসত ভিটায় কিছু অংশ রেখে দেওয়ার কারণে চলাচলে দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। চলাচলের পথ ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাদের অনুরোধ করা হলেও তারা উল্টো বারবার হুমকি দিয়ে আসছিল। এর জের ধরে ঘটনার দিন সকালে ও সন্ধ্যায় দুই দফায় মোজাফ্ফরের ছেলে ও তাদের ভাড়াটে লোকজন দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র এনে আমাদের বসতঘরে বেপরোয়া হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। অভিযোগে সালাহ উদ্দিন বলেন, হামলাকারীরা তাদের বসতবাড়িতে ন্যাক্করজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। হামলাকারীদের বাঁধা দিতে গিয়ে আমার বৃদ্ধ মা-বাবাকে ব্যাপক মারধর ও এক ভাইকে মারধর করে একটি হাত ভেঙ্গে দিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এসময় হামলাকারী আমাদের বসতঘরের দরজা-জানালা ভাংচুর করে লুটপাটসহ প্রায় ৪০হাজার টাকা ক্ষতিসাধন করেছে। বসতভিটার বেশ কিছু ফলজ গাছও কেটে ফেলেছে। তিনি আরো বলেন, আমার ভাবী নার্গিস সোলতানাকে হামলাকারীরা শ্লীলতাহানি করে গলায় থাকা একটি ৮আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন জোর করে নিয়ে গেছে। হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। চকরিয়া থানার ওসি শেখ মো: আলী জানান, ঘটনার খবর পেয়ে হারবাং ফাঁড়ি থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আহতদের পরিবার পক্ষ থেকে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে মামলা নেওয়া হবে।
Leave a Reply