কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর ঘূনিয়া গর্জনিয়াপাড়া ৪নং ওয়ার্ড এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারী ও প্রবাসী যুবকসহ ২ জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় মৃত কবির আহমেদের স্ত্রী জরিনা বেগম (৪৫) ও তার দেবর সাঈদুল হক কোম্পানির পুত্র প্রবাসী গিয়াস উদ্দিন (৩৫)। এ ঘটনায় প্রবাসী যুবক গিয়াস উদ্দিনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান চকরিয়া উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের স্বজনরা জানান, উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর ঘূনিয়া গর্জনিয়াপাড়া এলাকার আহমদ হোসেনের সঙ্গে একই এলাকার সাঈদুল হক কোম্পানির পরিবারের মধ্যে জায়গা-জমি বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জেরে আহমদ হোসেন (৬০),তার পুত্র
আব্দুল হামিদ (৪২), মাহামুদুল করিম (৩২) ও আব্দুল হামিদের স্ত্রী রেখা বেগম (৩৫) গংরা সাঈদুল হকের পরিবারে প্রবাসী গিয়াস উদ্দিন ছাড়া আর কোন পুরুষ নেই জেনে মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে বাড়িতে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় গিয়াস উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে আহমদ হোসেন গংরা স্ব-জোরে কুড়াল দিয়ে আঘাত করে। প্রবাসী গিয়াস উদ্দিনের চিৎকার শুনে তার ভাবি এগিয়ে আসলে তাকেও বুকে ও পেটে লাথি, কিল-ঘুষি মারে বলে জানান তারা। এদিকে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত প্রবাসী গিয়াস উদ্দিনের বড় ভাই মোঃ ইউনুস বলেন, জায়গা-জমি নিয়ে আমার পরিবারের সাথে একই এলাকার আহমদ হোসেন গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে শালিসি বৈঠক ও হয়েছিলো। কিন্তু তারা তা মানতে নারাজ। এমনকি কিছুদিন আগে নিজের শরীরে নিজে ব্লেড মেরে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পর্যন্ত পাঠিয়েছে। এরপরও তারা ক্ষান্ত না হয়ে আজকে আমার ছোট ভাইয়ের উপর এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। তারা সমাজে ভূমিদস্যু প্রকৃতির লোক। তাদের পিছনে ইন্ধনদাতা হিসেবে একই এলাকার প্রভাবশালী কিছু লোকও জড়িত আছে বলে তিনি জানান। এদিকে এ ঘটনার পর মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে জানতে ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলালীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply