কক্সবাজারের চকরিয়ায় জেলের ছদ্মবেশে নদীতে অভিযান চালিয়ে ১২ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় একটি ইঞ্জিনচালিত বোটও জব্দ করা হয়। তবে পুলিশ এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গত রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত একটানা অভিযান চালিয়ে ইয়াবার এ চালান জব্দ করেন চকরিয়া থানা পুলিশ। এ ইয়াবার চালানটি জব্দের পর পুলিশ বলছে, থানা-পুলিশ এর আগে ইয়াবার এত বড় চালান জব্দ করতে পারেনি। এটাই সবচেয়ে বড়। চকরিয়া থানা-পুলিশ জানায়, এক সপ্তাহ আগে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী খবর পান, নদীপথে টেকনাফ থেকে ইয়াবার বড় একটি চালান চট্টগ্রামের দিকে যাবে। এর পর থেকে থানা-পুলিশ গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। নিশ্চিত হওয়ার পর গতকাল রাত থেকে জেলের ছদ্মবেশে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের বহলতলী এলাকায় মহেশখালী চ্যানেলে (নদীতে) অবস্থান নেয় পুলিশের কয়েকটি দল। এ সময় একটি নৌযান থেকে ইয়াবাভর্তি প্লাস্টিকের পাঁচটি ড্রাম জব্দ করা হয়। ড্রামগুলো কেটে একে একে বের করা হয় টেপ মোড়ানো ১২৫টি প্যাকেট। এসব প্যাকেটের প্রতিটিতে ১০ হাজার করে ইয়াবা রয়েছে। চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, লুঙ্গি–গামছা পরে সারা রাত নদী পাহারা দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ভোরে ১২ লাখ ৫০হাজার পিস ইয়াবার চালানটি জব্দ করা হয়। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে নৌযান ফেলে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। এ সময় কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও মূল হোতার হদিস পাওয়া গেছে। পুলিশ তাঁকে ধরতে চেষ্টা করছে। চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এম এম রকীব উর রাজা বলেন, ইয়াবার বড় চালানটির পেছনে কারা জড়িত, তা খোঁজা হচ্ছে। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
Leave a Reply