চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মছনিয়াকাটা মুরারপাড়া এলাকায় রাস্তা নির্মাণের নামে কাটা হচ্ছে বিশাল পাহাড়। মূলত মাটি বিক্রির উদ্দেশ্যে এ পাহাড়টি এস্কেভেটর ব্যবহার করে বরইতলী ৮নং ওয়ার্ডের এমইউপি শওকত ওসমান ও নাসির কোম্পানির নেতৃত্বে কাটা হচ্ছে। অনুমোদন ছাড়াই প্রকাশ্যে বিশাল পাহাড় কাটা হলেও পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগ বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা- এ অভিযোগ স্থানীয়দের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বরইতলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মছনিয়াকাটা মুরারপাড়া এলাকায় এস্কেভেটর ব্যবহার করে প্রকাশ্যে বিশাল একটি পাহাড় কাটা হচ্ছে। রাস্তা নির্মাণের নামে ইতিমধ্যে বিশাল পাহাড়টি কেটে ফেলা হয়েছে। পাহাড় কাটার ব্যাপারে জানতে চাইলে বরইতলী ৮নং ওয়ার্ডের এমইউপি শওকত ওসমান বলেন, রাস্তা নির্মাণের জন্য পাহাড়টি কাটা হচ্ছে। বনবিভাগ ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই আমরা এ কাজটি করছি। পাহাড় কাটা সম্পন্ন হলেই এলজিডির মাধ্যমে ব্রিক সলিংয়ের কাজ করা হবে। এ ব্যাপারে আরো জানতে স্কেভেটর মালিক নাসির কোম্পানির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পাহাড়ের গাছগুলো আগেই কাটা হয়েছিল। এখন রাস্তা নির্মাণের জন্য পাহাড়টি কাটা হচ্ছে। পাহাড় কাটা মাটিগুলো রাখার জায়গা সংকুলান হওয়ায় এসব মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, কাজটি এমইউপি শওকত ওসমান আর আমি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, রাস্তা নির্মাণের নামে ধ্বংস করা হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের সাইনবোর্ড ছাড়া কিছু নয়। তাদের মূল উদ্দেশ্য রাস্তা নির্মাণ নয়। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রাস্তা নির্মাণের নাম ব্যবহার করে বনভূমি কেটে মাটি বিক্রি করে প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করা। এদিকে পাহাড় কেটে বনভূমি ধ্বংসের বিষয়ে বারবাকিয়া রেঞ্জের অধীনে পহরচাঁদা বনবিট কর্মকর্তা শাহা আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি পাহাড় কাটার বিষয়ে অবগত নয় বলে জানান। তিনি আরো বলেন পাহাড় কর্তনের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে বারবাকিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পাহাড় কাটার ব্যাপারে অবগত হয়েছেন বলে জানান এবং পহরচাঁদা বনবিট কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান। রেঞ্জার হাবিবুর রহমানকে সাংবাদিকরা তার বিট কর্মকর্তা শাহা আলম পাহাড় কাটার বিষয়ে মুঠোফোনে তার সাথে কথা বলার সময় অবগত নয় বলে জানিয়েছেন বললে তিনি তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং এবিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। রেঞ্জার ও বনবিট কর্মকর্তার দুজনের দুধরনের বক্তব্যে সহজেই অনুমেয় করা যায় এ ঘটনায় লুকিয়ে রয়েছে রহস্য। এমনকি রয়েছে তাদের যোগসাজশও। এ বিষয়ে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, খুব দ্রুত পাহাড় কাটার ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে আইগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply