চকরিয়ায় মহাসড়ক সংলগ্ন লামা সড়কে প্রবেশ পথ ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাঁসেরদিঘী স্টেশনে পানি চলাচলের কালভার্ট ও ড্রেন দখল করে ক্ষতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা নির্মাণকৃত কালভার্টের সম্মুখভাগ ভেঙে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়েও দেখা যায় পার্বত্য লামা উপজেলায় প্রবেশ মুখ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন ছড়াখালের উপর নির্মিত সড়কের নিচে পানি চলাচলের কালভার্টের দক্ষিণ ও উত্তর পাশ কালভার্টের মুখ ভেঙে দুইপাশে দুইজন ব্যবসায়ী তাদের দোকানের পুরো অংশই নির্মাণ করে দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা বাণিজ্য। পাশাপাশি দুইপাশের কালভার্টমুখ পলিথিন প্লাস্টিক ও নিত্য-নৈম্যত্তিক ব্যবহৃত ভাঙ্গাচূড়া ও ইট কংকর ফেলে পানি চলাচলের মুখ বন্ধ করে রেখেছে। বর্তমান শুষ্ক মৌসুম হলেও হঠাৎ বৃষ্টির কারণে উপরোক্ত কালভার্টের দুই পাশেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি সহ পরিবেশের মারাত্মক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। দেখা মিলে ঔইসব স্থানে মুরগি পচা এবং কসাইদের ব্যবহৃত বিভিন্ন ময়লা ওখানে জমাট হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আশপাশের অনেক ব্যবসায়ী ও তাদের নিয়মিত ব্যবহারের পরিত্যক্ত ময়লা আবর্জনা ওখানে ফেলে কালভার্টের মুখ ঠাসা করে রেখেছে। চলতি মৌসুম শুষ্ক হলেও আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বেশি পরিমাণ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি সহ দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা আবর্জনায় পরিবেশের ক্ষতি এবং সড়কের দুপাশ ভেঙে খাদে পড়ে যাওয়া সহ যান চলাচলে ও বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ার আশু সম্ভাবনা রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ব্যবসায়ী সোহেল আবছার নাহিদ ও ব্যবসায়ী মামুন সাংবাদিকদের জানান, সমূহ স্থানে পাহাড়ি ছড়াখাল দিয়ে পানি চলাচলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী অসাধু ব্যবসায়ী বাপ্পী স্টোরের মালিক খুরশেদ আলম, জমির স্টোরের মালিক জমির উদ্দিন সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি জবরদখল পূর্বক সমূহ স্থানে দুজনেই অবৈধভাবে দুটি দোকান নির্মাণ করে বসে। এসব ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অনেককে জানানো হলেও রহস্যজনক কারণে সড়ক বিভাগের জমি উদ্ধারে কেউ এগিয়ে আসেনি। ফলে এ দুজন ব্যবসায়ীর কারণে অসংখ্য ব্যবসায়ী, যাত্রীবাহী যান, পথচারী এমনকি স্কুল-মাদ্রাসায় যাতায়তকারী ছাত্রছাত্রীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে চকরিয়া সড়ক বিভাগের অফিসে গিয়ে অনুপস্থিতির কারণে কোন কর্মকর্তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply