কক্সবাজারের চকরিয়ার চিরিংগা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মাহবুবুল হক ভূইয়া কর্তৃক গাড়ি আটক ও টোকেন বাণিজ্য এবং চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। গতকাল বিকেল ২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া পৌরশহরের বাঁশঘাট রাস্তার মাথায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ মানববন্ধনে পরিবহন শ্রমিকরা জানান, চিরিংগা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মাহবুবুল হক ভূইয়া যোগদানের পর থেকে সড়কে গাড়ি আটক ও টোকেন বাণিজ্য এবং সড়কে চলাচলরত বিভিন্ন পরিবহন থামিয়ে চাঁদাবাজি চলছে বেপরোয়াভাবে। জাহেদুল ইসলাম নামের এক সিএনজি চালক বলেন, গাড়ি আটক না করার শর্তে প্রতিমাসে ৪০০-১০০০ টাকা করে টোকেন বাবদ দেওয়া হলেও গাড়ি আটক করে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে যাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে আরেক সিএনজি চালক দেলোয়ার হোসেন জানান, গাড়ি আটক পরবর্তী তাদের দেওয়া শর্ত মোতাবেক হিসাব না মিললে জুড়ে দেয়া হয় মামলা। হিসাব-নিকাশ ঠিকঠাক থাকলে সাতখুন মাফ। ইনচার্জ মাহবুবুল হক ভূইয়ার ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পায় না। এ মানববন্ধনে জমির উদ্দিন নামের আরেকজন জানান, চট্টগ্রাম জেলা থেকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার প্রবেশপথ আজিজনগর ওয়েলকাম গেইট থেকে ফাঁসিয়াখালীর ঝঁনঝঁনিয়া ব্রীজ পর্যন্ত মহাসড়কে নিয়মশৃঙ্খলা রক্ষার বদৌলতে চলছে জোরজুলুম। হয়রানির শিকার হচ্ছে যানবাহন সংশ্লিষ্টরা। দিনে আটক করে রাতে ছাড়; রাতে আটক আবার দিনে ছাড়, এভাবে চলছে। ইজিবাইক চালক মূসা জানান, চিরিংগা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মাহবুবুল হক ভূইয়ার মতো গুটিকয়েক কর্তাদের অনৈতিক কাজের কারণে বদনাম হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর। তারা আরো জানান, স্থানীয় কয়েকজন দালাল ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের নিয়ন্ত্রণে চলছে চিরিংগা হাইওয়ে থানা। তাদের মাধ্যমে মহাসড়ক থেকে বৈধ-অবৈধ গাড়ি আটক করা হয়। একেকটি গাড়ি থেকে জোরপূর্বক মোটা অঙ্কের উৎকোচ আদায় করে রাতের আঁধারে ছেড়ে দেওয়া হয়। অনদিকে, ইনচার্জ মাহাবুবুল হক ভূইয়ার এমন হয়রানিমূলক কর্মকান্ডে চালক-হেলপাররা অতিষ্ঠ হয়ে এ মানববন্ধনে দ্রুত সময়ে অপসারণ দাবী করেন তারা। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী চালকদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে চিরিংগা হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ মাহবুবুল হক ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এখানে টাকা খরচ করে এসেছি। আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কিছুই নেই। আপনাদের ইচ্ছে হলে আপনারা নিউজ করেন।
Leave a Reply