পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলাধীন চরমোন্তাজ ইউনিয়ন পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ বহু বছর আগে থেকে এখানে মানুষের বসবাস। কিন্তু এখানের মানুষেরা ছিল বিদ্যুৎ বঞ্চিত। তাদের মোমবাতি, চেরাগ,হেরিক্যান দিয়ে আলো জ্বালিয়ে জীবনযাপন করতে হতো। যার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল খুব সংকটাপন্ন। তারপর শুরু হলো সৌর বিদ্যুতের প্রচলন। সৌর বিদ্যুত থাকলেও অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ক্রয় করা লাগতো। যার জন্য সকলে সৌর বিদ্যুতের সুবিধা পায় নি। এই অঞ্চলের মানুষ বেশির ভাগ হতদরিদ্র। তাই তারা আগেরকার যুগের মানুষের মতো মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর যখনই গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ নিয়েছে,তখনই ঘরে ঘরে বিনামূল্যে সৌরবিদ্যুত পৌঁছে দিয়েছে। যে সুবিধা পেয়েছে উপজেলার বিভিন্ন সুবিধা বঞ্চিত মানুষ। সারা বাংলাদেশ কে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনতে তারই উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় এই দূর্গম অঞ্চলে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ এর খুটি, শুরু হয়েছে স্থাপনার কাজও। বিদ্যুৎ এর খুটি স্থাপনের কাজ শুরু হওয়া দেখে ইউনিয়নবাসী খুব আনন্দিত। চরমোন্তাজ ইউনিয়নে বিদ্যুৎ পৌছানোর ব্যাপারে চরমোন্তাজের তরুণ সমাজ বেশি আনন্দ উল্লাস করছে এবং গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে দোয়া মিলাদ করেছে।
এসময় চরমোন্তাজের তরুণ সমাজসেবক মোঃ ওয়াহিদ খান রাজ বলেন “বাংলাদেশের সবচেয়ে দূর্গম এলাকা আমাদের রাঙ্গাবালী আজ আমাদের ইউনিয়নে বিদ্যুৎ এর খুটি স্থাপন শুরু হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে একমাত্র দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্য তিনি সবসময় দেশের অসহায় মানুষের কথা ভাবেন।যার জন্য আজ আমরা বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে দ্বীপ চরে বসবাস করেও বিদ্যুৎ এর সুবিধা পাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন “এই বিদ্যুৎ সুবিধার কারনে ইউনিয়নে শিক্ষার হার বাড়বে, উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবে ইউনিয়নবাসী। এবং কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা হবে আর ব্যাবসায় সুযোগ সুবিধা বাড়বে। সবমিলিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোয়া পেয়েছি। আমরা এজন্য গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।”
বিদ্যুৎ এর বিষয় এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন “আজ আমরা বিদ্যুৎ পেয়েছি, এজন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কে প্রান খুলে দোয়া করছি। তিনি না হলে কখনওই সম্ভব হতো না এই দ্বীপ চরে বিদ্যুৎ পৌছানো। এবং পটুয়াখালী ৪ আসনের এম পি মুহিব্বুর রহমানকে ও গ্রামবাসী ধন্যবাদ জানান।
এ বিষয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মিয়া বলেন “আজকে রোজ শুক্রবার প্রথম খুটি স্থাপন দিয়ে স্থাপনার কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা হবে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ, তার কারনে আমার ইউনিয়নবাসী বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়েছে।”
Leave a Reply