“ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) এর সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে নতুন সেমিষ্টারের শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিক ভাবে বরণ করে নেবার অনুষ্ঠান (নবীনবরণ) ও শীত কালীন পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
আজ শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারী) ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে (সাতারকুল বাড্ডায়) সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে এক নবীনবরণ ও শীত কালীন পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এ নবীনবরণ ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ অনেক গুণী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও ঢাকা ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ডঃ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস এর প্রফেসর ও চেয়ারম্যান ডঃ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ডিন প্রফেসর ডঃ শওকত আরা, বিভাগীয় প্রধান সহযোগী তানজিলা শবনম, সহকারী অধ্যাপক জামসেদুর রহমান।
নবীন বরণের এই দিনে পিঠা উৎসবে ভিন্ন ভিন্ন ৬ টি স্টলে বাঙালির ঐতিহ্যবাহীপুলি পিঠা, পাটি সাপটা, জামাই পিঠা, বেনি পিঠা, পাকান পিঠা, ভাপা পিঠা, কমলা সুন্দরী, তালের বড়া, নকশী পিঠা, সেমাই পুলি পিঠা,রস পিঠা, সবজি পাকান, ছিটা রুটি, শামুক পিঠা, ডিম পিঠাসহ প্রায় ৫০ রকমের পিঠার আয়োজন করে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।ক্যাম্পাসে প্রবেশের প্রথম দিনেই নবীন শিক্ষার্থীরা এমন অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করতে পেরে খুবই পুলকিত বোধ করেছে।
পিঠা উৎসব বাঙালি ঐতিহ্যের অন্যতম অংশ। এ উৎসব বাঙালিয়ানাকে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে।এ ধরণের উৎসব বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যম। পিঠা উৎসবে কেউ পিঠা বানিয়ে, কেউ বন্টন করে, কেউ খেয়ে আবার কেউ দেখে ও নানান রকম বন্ধুত্বময় খুনসুঁটি করে এই আয়োজনটিকে আনন্দময় ও উপভোগ্য করে তোলে।নতুন শিক্ষার্থীরাও খুবই সুন্দর,সহজ ও প্রাণচঞ্চলভাবে এই আনন্দ উৎসবে সামিল হয়। এরকম ভিন্ন ধর্মী আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সকল প্রকার সাংস্কৃতিক চর্চা অব্যাহত রাখছে বলে বিশ্বাস করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাধারন শিক্ষার্থীরা।
নবীনবরণের দিনে এ বর্ণাঢ্য ও সৃষ্টিশীল আয়োজন সম্পর্কে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজিলা শবনম বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির এক অনন্য উদাহরণ হচ্ছে শীতের পিঠা উৎসব। গ্রামের নবান্নের ছোঁয়া কৃষকদের মাঝে সারা বছরের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করতো।নতুন চালের ঘ্রাণ, প্রতিটি ঘরে পিঠা পায়েসের আয়োজন গ্রাম ও বাঙালির ঐতিহ্য। এগুলো নাগরিক জীবনে নেই বললেই চলে।তবে, ভালোলাগার মতো কথা হলো ঐতিহ্যের সে ছোঁয়া এখন নাগরিক জীবনেও লেগেছে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের এ অসাধারণ আয়োজন ছিলো মনে রাখার মতোই সুন্দর।
Leave a Reply