ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন জনস্বার্থে সরকারের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আইন বাস্তবায়নের দিক থেকে এই আইনের অনেক সফলতা পরিলক্ষিত হয়। আইন বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও সফলতা ধরে রাখার জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও আইনের উন্নয়ন জরুরী। আরামদায়ক ও সুলভে রেলওয়েতে ভ্রমণ করা যায়। তাই সেই রেলওয়ে যাত্রীদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের চেয়ে পুলিশের ভূমিকা অগ্রগণ্য। গতকাল সকালে খুলনা রেলওয়ে জেলার অধিনে পোড়াদহ রেলওয়ে থানার নবাগত ওসি মোহা: এমদাদুল হক এর সাথে সাফ‘র নির্বাহী পরিচালক ও জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য মীর আব্দুর রাজ্জাকের এক মতবিনিময় অনুুিষ্ঠত হয়। মীর আব্দুর রাজ্জাক আইন সংক্রান্ত বিষয়গুলো ওসি সাহেবকে বিভিন্ন ডকুমেন্ট দিয়ে অবহিত করেন। সাফ‘র ইডি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ইউনিফরম পরিহিত অবস্থায় যেন কোন পুলিশ সদস্য ধূমপান না করে, পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে কাউকে ধূমপান করতে দিবেন না। কেউ ধূমপান করে থাকলে তা ছেড়ে দিয়ে সেই অর্থ পরিবারের সকল সদস্যের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় জন্য ব্যয় করার জন্য অনুপ্রাণিত করা। ধূমপান একটি অপচয় ও স্বাস্থ্যহানীকারী দ্রব্য। মাদকের প্রথম সোপান ধূমপান ছেড়ে দিয়ে নেশামুক্ত পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে সবাইকে একসাথে কাজ করার অনুরোধ জানানো হয় । ট্রেনে যেন কেউ নেশাজাতদ্রব্য বিক্রয়, বহন ও ভোগ না করে তা খেয়াল রাখা জরুরী। আইন বাস্তবায়নে একজন এসআই পর্যন্ত কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ওসি সাহেব বলেন, ট্রেনে পকেটমার, অজ্ঞানপার্টি, মাদককারবারী, চোরাকারবারী, সন্ত্রাসী, ধূমপান ও মাদকসেবনকারী, টিকিট কালোবাজারীরোধ, পাথর নিক্ষেপকারীসহ ষ্টেশনে মটর সাইকেল চালানো বন্ধ করতে সব ধরণের জননিরাপত্তা বিঘœসৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ গ্রহনে দৃঢ় থাকবো। তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন। পোড়াদহ আসার আগে তিনি কিশোরগঞ্জ জিআরপি থানায় ছিলেন। বাড়ী মেহেরপুর জেলার গাংনীতে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, এসআই বিধান চন্দ্র মল্লিক, এসআই নার্গিস খাতুনসহ অন্যন্য পুলিশ সদস্যবৃন্দ। মতবিনিময় শেষে সাফ‘র পক্ষ থেকে আইন বাস্তবায়নে সহায়ক বিভিন্ন ম্যাটেরিয়ালস ও নোস্মোকিং সাইনেজ প্রদান করা হয়।
Leave a Reply