পটুয়াখালীর দুমকিতে অর্থের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মোঃ আবদুল্লাহ’র (৯) । চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায়তা চাইলেন তার মা মাহিনুর।
হোচট খেয়ে পড়ে বাম পায়ের মাঝ বরাবর ভেঙে গেছে তার। ডাক্তার অতিদ্রুত অপারেশনের জন্য ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললেও অর্থের অভাবে বাড়িতে বিছানায় শুয়ে কাতরানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই ।
জলিশা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের রাজাখালি গ্রামের ৬নং ওয়ার্ডের মৃত. হাসেম হাওলাদারের ছোট মেয়ের নাতি।
জানা যায়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মাহিনুর প্রতিবন্ধী সন্তান জন্মদান করাতে তার পাষাণ্ড স্বামী মোঃ ভাষান প্যাদা ওরফে রবিউল ইসলাম বহু আগেই পরিত্যাগ করে অন্যত্র বিয়ে করে আর কোন খোঁজ খবর নেয় না। এরপর থেকে আপায়-উপায় না পেয়ে মায়ের সাথে বাবার বাড়িতেই আছেন। মাহিনুরের বৃদ্ধ মা সবাইকে রান্না-বান্না করে খাওয়াতেন তিনিও গতকাল (১৪নভ স্ট্রোক করেছেন।
আরও জানা যায়, ৫ ভাই- বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট মাহিনুর শৈশবে বাবাকে হারান। বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে আর ভাইয়েরা উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু করেন না। বসত বাড়ি ছাড়া আর কোন জমিজমা নেই তাদের। মা ও ছেলে প্রতিবন্ধী ভাতা থেকে যা পান তা দিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাকে।
কান্না বিজড়িত কন্ঠে অন্ধ মাহিনুর ঢাকা রিপোর্টকে বলেন, প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া আর কোন সরকারি বা বেসরকারি সহায়তা পাই না। যদি কেউ আমার সন্তানের চিকিৎসার জন্য অর্থ সাহায্য করতে চায় তবে এ নম্বরে(০১৭৮৩-৫৬৪-৭৯১) (নগদ) সাহায্য করতে পারেন।
অত্র ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ বাচ্চু বলেন, মাহিনুরের জনম দুঃখী ও ভীষণ অসহায়। ছেলেটার এ অবস্থা তার ওপরে আবার ওর (মাহিনুরের) মা স্ট্রোক করাতে পরিবারটি দিশেহারা অবস্থায় আছে।
Leave a Reply