পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে ক্লাস বর্জন কর্মসূচির পর এবার প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে তালাবদ্ধ দেখে বাড়িতে ফিরে যেতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।উপজেলার ২৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একযোগে পাঠদান বন্ধ রেখে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ক্লাস বর্জন কর্মসূচির পর বুধবার প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করতে দেখা গেছে । আবার অনেক শিক্ষক কেন্দ্রীয় আন্দোলনে যোগ দিতে ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।জানাগেছে, বুধবার বিকেলে অধিকাংশ শিক্ষক আন্দোলনে যোগ দিতে ঢাকা যাবেন। উপজেলার প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আন্দোলন ও তালাবদ্ধ বিষয়ক ব্যানার সাঁটানো রয়েছে। এ দিকে ক্লাস না হওয়ায় বিপাকে পড়ছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। চরবয়েড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফরিন আক্তার বলেন, স্কুলে ক্লাস হয় না দেখে বাড়ি চলে এসেছেন। দুমকী এ. কে মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ইভা ও গোলাম রাব্বানি বলেন, স্যারেরা ক্লাস নিচ্ছেনা তাই বাড়ি চলে যাচ্ছেন। দুমকী নাসিমা কেরামত আলী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মাকসুদুর রহমান বলেন, উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আমরাও আন্দোলন করছি । এদিকে আন্দোলন বেগবান করতে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার সকল এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ শিক্ষকদের উপস্থিতিতে বশির উদ্দিন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জি এম ইউসুফ কে আহবায়ক করে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করন সংগ্রাম কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটির আহবায়ক জি এম ইউসুফ মুঠোফোনে জানান, তাঁদের একদফা দাবি জাতীয়করন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের দাবি বাস্তবায়িত না হবে ততক্ষণ প্রতিষ্ঠানে তালাবদ্ধসহ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদরুন নাহার ইয়াছমিন বলেন, প্রতিষ্ঠানে তালাবদ্ধের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন প্রতিষ্ঠান প্রধান আমাকে জানায়নি। বিষয়টি তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানাবেন।
Leave a Reply