পটুয়াখালীর দুমকীতে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে চাদনী(২৫) নামে প্রেমিকা অনশনে বসেছেন। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লেবুখালী গ্রামে হারুন শিকদারের ছেলে প্রেমিক হাসান মাহমুদ সাজনের(৩১) বাড়িতে এই অনশন শুরু করেন। চাদনী উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের পাঙ্গাসিয়া গ্রামের ফজলু হাওলাদারের মেয়ে।
চাঁদনী জানান, গত চার বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। সম্পর্কের কারণে তাদের মধ্যে নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ হতো। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান প্রেমিক সাজন। কয়েক বছর পর্যন্ত বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আসলেও গত পাঁচ মাস যাবৎ সাজন সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। সাম্প্রতিক সময়ে সাজিনের সঙ্গে অন্য মেয়ের বিবাহের কথা চলছে জানতে পারলে প্রেমিকা চাঁদনী সাজনের বাড়িতে আসেন। চাদনীর ভাষ্য, তাঁর উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি থেকে সটকে পড়ছেন প্রেমিক সাজন। আমি সাজনের ঘরের সামনে গেলে সাজনের মা, ফুফু ও বোন মিলে আমাকে মারধর করেন এবং আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন।
আমার মা দুমকী থানায় অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী এই তরুণী আরও বলেন, এলাকার প্রভাবশালীরা আমাকে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। এমন অবস্থায় আমি নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে করছি। তবে যতক্ষণে বিয়ে না হবে ততক্ষণে বাড়ি থেকে যাবো না।আমি মরে যাব তবুও এখান থেকে যাবো না।
এদিকে প্রেমিক সাজনের মুঠোফোনে কয়েকবার কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সাজনের বাবা হারুন অর রশীদ ( মাস্টার) বলেন, আমার ছেলের সাথে ওই মেয়ের কোন সম্পর্ক নাই। আমার ছেলেকে ফাঁসাতে মিথ্যে নাটক করছে।
দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, উক্ত ঘটনায় চাঁদনী আক্তারের মা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করছে। ছেলে বর্তমানে পলাতক অবস্থায় আছে।
Leave a Reply