জেলা দৌলতপুর উপজেলার রেফায়েত পুর ইউনিয়নের ভাদালিপাড়া গ্রামের মোছাঃ রেখা খাতুন পিতা-মোঃ ইদ্রিস আলীর মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মিরপুর উপজেলার ধুবাইল ইউনিয়নের কাজিপুর গ্রামের আব্দুল্লার সাথে। দীর্ঘ নয় বছরের সংসার জীবনে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। সরেজমিন ঘুরে এবং তথ্য সুত্রে জানা যায় মোছাঃ রেখা খাতুন দুই সন্তানের জননী নয় বছরের সুখের সংসারে হঠাৎ কাল বৈশাখী ঝড়ের মত সব তছনছ করে দিয়েছে তার নিজ গ্রামের দুর সম্পর্কের চাচা মাসুদ রানা। রেখা খাতুন প্রতিবেদক একটি ভিডিও বক্তব্যে জানান তার স্বামী কর্মসূত্রে বিভিন্ন সময় এলাকার বাহিরে অবস্থান করেন দীর্ঘ সময় , এই ফাঁকে আমি মাসুদ রানার সাথে একটি পরকীয়া সম্পর্ক হয়। উক্ত সম্পর্কের জেরে গত ১২-০৮-২২তাং কুষ্টিয়া কোর্টে গিয়ে প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়েই মাসুদ রানার সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়েতে আবদ্ধ হই, এবং বিষয় টি গোপন রেখে প্রথম স্বামীর সংসারে ফিরে এসে স্বাভাবিক ভাবেই সংসার করতে থাকি। উক্ত ঘটনার প্রায় তিন মাস পর মাসুদ রানার এক নিকটতম আত্বীয় আমার দ্বিতীয় বিয়ের কাবিন নামা হাতে পেয়ে আমার প্রথম স্বামীর বাড়িতে এসে উপস্থিত হলে বিষয়টি লোক জানাজানি হয়ে যায়। এমতাবস্থায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে আমি মাসুদ রানার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সে আমাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। উক্ত বিষয়ে প্রতিবেদক , রেখার কথিত প্রেমিক মাসুদ রানার কাছে প্রশ্ন করলে, উক্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন রেখার সাথে আমার দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার বিয়ের পর কিছু দিন সম্পর্কে কিছু টা দুরুত্ব বেড়ে গিয়েছিল পরে আবার তার সাথে একটি সুম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তাকে আমি কুষ্টিয়া কোর্টে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করি। এবং তাকে বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে বলি। কারন আমার প্রথমে পক্ষের বিয়ে করা একজন স্ত্রী ও দুই টা সন্তান আছে । আমি আমার পরিবারের সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে তাকে ঘরে তুলবো এই মর্মে কথা দিয়েছি। কিন্তু ঘটনাটি তার আগেই জানাজানি হয়ে যায়। আমার পারিবারিক চাপের কারণে এবং আমার প্রথম পক্ষে স্ত্রী এখন অন্তঃসত্ত্বা থাকায় এই অবস্থায় তাকে আমি গ্রহণ করতে পারবোনা বলে অস্বীকৃতি জানাই। এবং এ ব্যাপারে আমার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ গনের সাথে ঘরোয়া ভাবে সমস্যার সমাধান করার ব্যাপারে আলোচনা করেছি । আমার অপরাধ আমি শিকার করে বলতে চাই বিচারে যে শাস্তি হবে তা আমি মেনে নিব ।কিন্তু রেখার প্রথম পক্ষের স্বামীর অভিযোগ রেখা আমার সাথে এমন গভীর ষড়যন্ত্র করেছে তা আমি বুঝে উঠার আগেই আমার কষ্টে অর্জিত কিছু টাকা রেখার ব্যাংক একাউন্টে জমা রেখেছি বিদেশে যাওয়ার আসায়। আরো কিছু নগদ টাকা জমা রেখেছি, সেগুলো সহ কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে তারা গোপনে বিয়ে করেও আমার সাথে মিথ্যা অভিনয় করছেন। বিষয়টি আগেই জানাজানি হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। কিন্তু রেখা বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আমার বাড়ি থেকে যাওয়ার আগে তার এ্যাকাউন্টে রাখা টাকা ও নগদ কিছু ক্যাশ ফেরত না দিয়ে চলে যায়, আমি আমার টাকা গুলো ফিরত চাই এবং উক্ত প্রতারনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমার সাজানো সংসারে দুই সন্তানকে এতিম করার জন্য তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি।
Leave a Reply