গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে সশরীরে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। গতকাল বৃহস্পতিবার পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এক শিক্ষার্থী নকল সহ হাতেনাতে ধরা পড়ে। এ সময় পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত শিক্ষক উক্ত শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র কেটে বাতিল করেন এবং পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেন। তবে কিছুক্ষণ পরেই উক্ত শিক্ষার্থীকে আবারো পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দেন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ডঃ হালিমা খাতুন।এ সময় তিনি পূর্বের বাতিলকৃত উত্তরপত্র বাদ দিয়ে নতুন একটি খাতা দেন।
এ বিষয়ে উক্ত পরীক্ষা হলে দায়িত্বরত পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ইহতিশাম ক্বাবিদ বলেন, “এক শিক্ষার্থী নকল করতে থাকলে আমরা তাকে হাতেনাতে নকল করা অবস্থায় ধরে ফেলি এবং সিনিয়রদের জানালে তারা যেটা মনে করেছেন,সেটা করেছেন। ”
এ বিষয়ে বিভাগের আরেক শিক্ষক মোঃ বুলু রহমান বলেন, “ক্যালকুলেটরের উপরে- নিচে নকল লিখে কপি করার সময় ধরা হয় এবং খাতা কেটে বের করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে নতুন খাতা দিয়ে নতুনভাবে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন হালিমা ম্যাম।”
পরীক্ষার সময় পাশের কক্ষে দায়িত্বরত একই বিভাগের শিক্ষিকা নূর-ই-আশরাফী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “ঘটনাটি আমি জানি নিশ্চয়ই। কিন্তু এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে ইচ্ছুক না।”
এ বিষয়ে ড. হালিমা খাতুন বলেন, “কোভিড কালীন সময়ের জন্য বিষয়টা সার্বিক দিক বিবেচনা করে এ বিষয়টা এভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ”
এ বিষয়ে প্রক্টর রাজিউর রহমান প্রতিবেদককে বলেন, “বিষয়টা সামনে নিয়ে আসো।পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যানকে ফোন করো।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ বিষয়ে ভূমিকা কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমরা অফিসিয়ালি জানি না। ”
এ বিষয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহানকে ফোন করা হলে ব্যস্ত পাওয়া যায়।
তবে করোনাকালীন সময় হলেও নকল মুক্ত পরীক্ষার পরিবেশ রাখতে নকলকৃত অংশসহ প্রশাসনের কাছে দিয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসা উচিত ছিলো বলে মন্তব্য করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এসএম গোলাম হায়দার।
আর নতুন কোনো উত্তরপত্র দেয়ার কোনো নিয়ম নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “খাতা কাটুক বা আমাদের কাছে পাঠাক কিংবা নতুন করে লেখার সুযোগ করে দিক না কেন,এভাবে নতুন করে খাতা পরিবর্তন করে দেয়ার সুযোগ নেই। ”
এ বিষয়ে উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বলেন,”আমাকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ কিছু জানায় নি।”
Leave a Reply