কোনো না কোনো ভবন থেকে ঘন্টার পর ঘন্টা পানি পরছেই, এই দৃশ্যটি একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে উঠেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু হলের পানির ট্যাংক থেকে নিয়মিত পানি পরে। একই চিত্র দেখা যায় প্রশাসনিক ভবন এবং ডরমিটরিতেও। পানির ট্যাংক ভরে নিয়মিত পানি পরে ঘন্টার পর ঘন্টা কিন্তু সঠিক সময়ে মটর বন্ধ করার মতো লোক নেই। এ বিষয় নিয়ে নজরদারী নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। এতে একদিকে পানির অপচয় যেমন হচ্ছে অন্যদিকে বাড়ছে বিদ্যুৎ ব্যয়। সংশ্লিষ্টদের নজরদারির অভাবে এই পানি এবং বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হল থেকে পানি পরতে দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের শিক্ষক সাদিক হাসান শুভ লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে সবচেয়ে শিক্ষিত মানুষ বাস করে সেখানে এই দৃশ্য খুবই বেমানান। গত ২ তারিখের পর থেকে নতুন ছাত্র হলের এই মটর আমি কখনো বন্ধ হতে দেখিনি। অন্যান্য ভবন থেকেও প্রচুর পানি পরে। এভাবে চলতে থাকলে গ্যাসের মতো পানিও শেষ হয়ে যাবে। লোডশেডিং এর জন্য সরকারকে দায়ী করার আগে নিজেদের লজ্জিত হওয়া উচিত। যে পানির অপচয় করছেন আর যে করতে দিচ্ছেন, মনে রাখবেন, একদিন আপনাকে পানির ভয়ানক কষ্ট ভোগ করতে হবে। ন্যাচারাল জাস্টিজ বলে একটা কথা আছে। এই শাস্তি আপনাকে পেতেই হবে, আজ না হয় কাল।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু হল থেকে দিন-রাত পানি পরে। এ বিষয়ে হলে কর্মরত একজনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটু পরপর এখানে এসে গোসল করে। তারা এখানে এসে গোসল করে পানির মটর বন্ধ না করেই চলে যায়। কিছু বলতে গেলে খারাপ ব্যবহার করে। তাই আমরা কিছু বলি না। যার কারণে পানির ট্যাংক ভরে নিয়মিত এখানে পানি পরে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় নিয়মিত তদারকির জন্য কোনো লোক নেই। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হলে আশা করি এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। বর্তমান সময়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। সবাই নিজ জায়গা থেকে একটু সর্তক হলে আশা করি এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
Leave a Reply