গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রীতিক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে, গোপালগঞ্জ শহরে শেখ কামাল স্টেডিয়াম সংলগ্ন শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ক্যাম্পাসের ভবনসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়।
২৬ মার্চ সকাল ১১.০০ টায় একাডেমিক ভবনের ৫০১ নম্বর কক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব এর সভাপতিত্বে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মোঃ ফায়েকুজ্জামান মিয়া।
প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ তাঁর বক্তৃতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অবদানের বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা থেকেই নিজের জীবন বিপন্ন করে সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুই প্রথম রাজনৈক নেতা যিনি ভাষা আন্দোলনের জন্য গ্রেফতার হন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই এদেশের আপামর জনগণ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে।
আলোচনা সভার সভাপতি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু দেশের জন্য সপরিবারে জীবন দিয়েই যাননি, তিনি আমাদের জন্য সামনে রেখে গেছেন সুন্দর একটি জীবন দর্শন, তাঁর জীবন দর্শন। বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন।
এর আগে স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুবের নেতৃত্বে রাত ১২.১৫ টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে, সকাল ৯.৩০ টায় গোপালগঞ্জ শহরে শেখ কামাল স্টেডিয়াম সংলগ্ন শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে এবং সকাল ১০.০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অফিসার্স এসোসিয়েশন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, কর্মচারী সমিতি, সকল হল, বিভিন্ন বিভাগ, রোভার স্কাউট, বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে দিনব্যাপী প্রীতি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বিকাল ৪.৩০ টায় শহীদ মিনার চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানসমূহে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply