শাড়ি যেন নারীর মোহনীয়তার আরেক নাম। নারীকে মোহনীয় ও আকর্ষণীয় করে তুলতে শাড়ি এক অতুলনীয় এবং বিতর্কহীন পোশাক।শাড়িতে যেন নারীকে এনে দেয় স্বর্গীয় দেবীর প্রতিচ্ছবি!
বারো হাতের শাড়ি নারী দেহের সাথে আটকে রাখে আকর্ষণীয়য়তার,মোহনীয়তার আর ঐতিহ্যের স্বাক্ষর।দিনের পর দিন বাঙালী নারীকে মোহনীয় রূপ দিতে একটুও অভাব রাখেনি শাড়ি।
এই পোশাকের বিভিন্ন নকশা ও রং নারীকে একেকভাবে তুলে আনে সবার সামনে।সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য শাড়ি প্রস্তুতকারীরা শাড়ির পাড় বা অন্যান্য অংশে বিভিন্ন ডিজাইন দেন।এসব ডিজাইন ও রং সাহায্য করে বিভিন্ন গড়নের দেহে তা মানিয়ে যাওয়ার জন্য।
একজন নারীকে লম্বা দেখাতে কিংবা খাটো দেখাতে যেমন বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ি পরতে হয়,ঠিক তেমনি শাড়ির রংও ফুটিয়ে তোলে নারীর ব্যাক্তিত্বকে।যেমন মোটা পাড়ের শাড়িতে একজন নারীকে বেশিই মোটা দেখায়।তাই নিজেকে স্লীম দেখাতে চাইলে চিকন পাড় বা পাড়বিহীন শাড়ির বিকল্প নেই।
আবার আকর্ষণীয় করে তুলতে বা আধুনিকতার ছোয়া দিতে হাতাকাটা বা স্লিভলেস ব্লাউজের জুড়ি নেই।কিন্তু আপনার হাতে যদি মেদ বা চর্বি বেশি থাকে, তাহলে কিন্তু সৌন্দর্যটা না বাড়িয়ে কমিয়েই দিবে। তাই এই বিষয়টা মাথায় রেখে হাতাকাটা ব্লাউজ পরবেন কি পরবেন না,সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। হাতে সামান্য মেদ থাকলে পরতে পারেন কোয়ার্টার বা ফুল হাতার ব্লাউজ।
ব্লাউজ বেশি শক্ত করে পরা অনুচিত।কারন এতে পিঠের মেদ বের হয়ে থাকতে পারে।যা আপনার সৌন্দর্য কমিয়ে দিতে যথেষ্ট।
শাড়ির ডিজাইন বা নকশার সাথে সাথে এর রঙ_ও দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। খেয়াল করলে দেখবেন গাড়ো রঙের শাড়িতে একটু বেশিই স্লিম দেখায় মেয়েদের।এর কারন গাড়ো রঙ দৃষ্টি কেড়ে নেয় আগেই।তাই নিজেকে স্লীম দেখাতে চাইলে গাড়ো রঙের শাড়ি পরতে পারেন।আর যদি আপনি এক হারা গড়নের হোন,তবে পরে নিতে পারেন হালকা রঙের শাড়ি।যা আপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে দারুণ কাজে লাগবে।এছাড়া শাড়ি পরাটাও গুরুত্বপূর্ণ। শাড়ির ভাজ যদি বেশি পরে,তবে মোটা দেখায় অপেক্ষকৃত। তাই নিজের সাথে মানানসই রেখে ভাজ রাখা উচিত শাড়ি পরার ক্ষেত্রে।
সঠিকভাবে যদি সঠিক ডিজাইন ও পরার কৌশল যদি মানা যায়,তাহলে বলায় যায় নারীকে তার মোহনীয় রূপ দিতে শাড়ির বিকল্প আর কিচ্ছু নেই।
মডেলঃ রিতা রক্তিতা
Leave a Reply