নিকলী হাওড় ভ্রমণ ও সকল খরচ বৃত্তান্ত
আমি একা গিয়েই মাত্র ১১০০ টাকায় ঘুরে এলাম নিকলি হাওর ও মিঠামইন থেকে।
সকাল ৬ টায় আপুর বাসা মগবাজার থেকে গোলাপবাগ বাস স্ট্যান্ডে অসলাম। ভাড়া ১৫ টাকা।
সকালের নাস্তা ৬০ টাকা,
বাস ভাড়া: ১৬০ টাকা।
যাতায়াত পরিবহনে সকাল ৬:৩০ এ বাস ছাড়ে।কোটিয়াদি পর্যন্ত ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা।
কোটিয়াদি যেতে ৩ ঘন্টার মত লাগার কথা। কিন্তু বাস অনেক জায়গাতে থামার কারনে ৪ ঘন্টা লেগেছে।
১০:৩০ কোটিয়াদি থেকে লোকাল সিএনজিতে করগাও তে গেলাম। ভাড়া ৫০ টাকা আর সময় লেগেছে প্রায় ১ ঘন্টা।
করগাও থেকে লোকাল অটোতে করে নিকলি বেড়ী বাধ পর্যন্ত ভাড়া গেলাম।ভাড়া ৪০ টাকা। সময় লাগে ৩০ মিনিট।
এই বার নৌকা ঠিক করার পালা। শেয়ারে নৌকা ঠিক করার জন্য যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে এবং বিনয়ী হতে হবে।
৯ জন এর একটা দলে আমি যুক্ত হয়ে ১০ জন মিলে আসা যাওয়া সহ একটা নৌকা ভাড়া করি মাত্র ২০০০ টাকায়।
শুক্র ও শনিবার অনেক ভিড় থাকে এবং নৌকা ভাড়া অনেক বেশি থাকে, তাই এই দিনে না যাওয়াই ভালো।
নৌকা ভাড়া পরলো জনপ্রতি ২০০ টাকা।সময় দেড় ঘন্টা মতো।
১টা ৩০ মিনিটে মিঠামইন নৌকা ঘাটে গেলাম। নৌকা ঘাট থেকে মিঠামইন বাজারে গেলাম অটোতে। ভাড়া লাগলো ১০ টাকা।
দুপুরবেলার খাবার খেলাম কাচা লংকা হোটেলে,বিল এলো ১৫০ টাকা।
এই বার মিঠামইন বাজার থেকে ৫ জন মিলে অটো ভাড়া করলাম ইটনা, মিঠামইন,অষ্টগ্রাম রোডের বড় ব্রিজ পর্যন্ত। ভাড়া ৫০০ টাকা। আমার ১০০স্বপ্নের রোডে চলে আসলাম, ৭ ঘন্টার সব ক্লান্তি মুছে গেল, দিগন্তবিস্তৃত রোড ধরে ধরে বড় ব্রিজ পর্যন্ত গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে আবার রওনা দিলাম মিঠামইন বাজারে। মিটামইন বাজার থেকে নৌকা ঘাট। নৌকা থেকে দেড় ঘণ্টা জার্নি করে সন্ধ্যা ৬ টায় চলে আসলাম নিকলী বেড়িবাঁধ। সন্ধ্যায় হালকা কিছু নাস্তা খেয়ে রওনা দিলাম।
লেখকঃ জুবায়ের খান মিরাজ
Leave a Reply