নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মসূচি ঘোষণার প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে জোহরের নামাজের পরই এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বক্তব্য প্রদান করে।
বিক্ষোভ মিছিলের সময় বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। তন্মধ্যে, ” একশন টু একশন, ডাইরেক্ট একশন,ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশন”, ” ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠো একসাথে”, ” ছাত্রলীগের ঠিকানা এ বাংলায় হবেনা”, ” একটা একটা লীগ ধর,ধইরা ধইরা জেলে ভর”।
বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য প্রদানের সময় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইসতিয়াক জামিল বলেন,
সংগ্রামী ভাইয়েরা আপনারা জানেন,ছাত্রলীগ একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। তবুও এই ছাত্রলীগ বর্তমান বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে ভেবছে তারা আমাদের ছাত্র সমাজের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলবে। ২৪’এ, এ বাংলায় আমাদের দু হাজার ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। তাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আমরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী ছাত্রলীগকে রাজনীতি করতে দিবো না। তারা প্রকাশ্যে এখন সকল রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাদের হামলা এবং খুন করছে। আমি পরিষ্কার ভাবে বলে দিতে চাই তারা এখনো সাবধান না হলে এর কঠিন ফল তাদের ভোগ করতে হবে। বাংলার জমিনে তারা কোন রাজনীতি করার সুযোগ পাবে না।
অন্য আরেক শিক্ষার্থী বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের মিশকাত বলেন, ৫ আগস্টেই আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেছে। নতুন করে আর তাদের ইতিহাস লেখার সুযোগ নেই। সেই বাংলার মসনদ থেকে বিতারিত আওয়ামী লীগ ও সৈরাচার হাসিনার ভাগ্য ৫ তারিখেই বাংলার জনগন রক্ত দিয়ে লিখে দিয়েছে৷ ৫ তারিখের পর থেকে বাংলার জমিনে তাদের রাজনীতি করস্র অধিকার শেষ হয়ে গিয়েছে। আমরা যারা এখনো সুশিলতা দেখাই,আইনের কথা বলি এবং আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাই,তাদের আমি বলতে চাই আপনার সুশিলতা ৫ তারিখে ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে।সুশিলতার কারনেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দুঃশাসন ১৬ বছর টিকে ছিলো। এই ছাত্র জনতা ৫ তারিখ হাসিনাকে উৎখাতের মাধ্যমে পূনরায় স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছে। যারা এ স্বাধীনতাকে নিয়ে পূনরায় টালবাহানা করবে, আমরা তাদের সকলকে কঠোরভাবে মোকাবেলা করবো।
Leave a Reply