পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আবদুল্লাহ সাদীদকে প্রত্যাহার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুরাদিয়া ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মো: মিজানুর রহমান শিকদার ।
গতকাল শুক্রবার (১৮ জুন) রাত সাড়ে ৮টায় প্রেসক্লাব, দুমকির হলরুমে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে ইউএনওর বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ এনে অবিলম্বে তাঁকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, গত শুক্রবার (১৮জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের বোর্ড অফিস বাজারে তাঁর পূর্বনির্ধারিত শান্তিপূর্ণ গণসংযোগ ও পথসভা চলাকালে ইউএনও শেখ আবদুল্লাহ সাদীদ অনাকাঙ্খিকভাবে তাতে বাঁধা দেন।
নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়া প্রায় দু’শতাধিক কর্মী-সমর্থক ও আ’লীগের নেতা-কর্মীদের পুলিশ দিয়ে অবরুদ্ধ করে প্রচারণায় বাধাগ্রস্ত এবং বিনা কারনে নৌকা মার্কার প্রচারনায় থাকা উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মো: হুমায়ুন কবির মৃধাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ভ্যানে ওঠান। তিনি (ইউএনও) শান্তিপূর্ণ প্রচারনায় বাঁধা ও গ্রেফতার করায় তার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আনারস মার্কার প্রার্থী দুই ট্রাক আনারস (যাতে ১১হাজার আনারস ছিলো) নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে ভোটারদের মাঝে বিতরণ করে সেক্ষেত্রে ইউএনও ও দুমকী থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আনারস দেখার পরও কোন ব্যবস্থা নেননি।
গত ১৭জুন ৮নং ওয়ার্ডে নৌকা মার্কার নির্বাচনী অফিসের সামনে আনারসের কর্মীরা নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘণ করে উচ্ছৃঙ্খল উদ্যমনৃত্য, অশ্লীল শ্লোগান দিয়ে বিশৃৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে পুলিশ তাদের কিছু না বলে উল্টো নৌকা সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে।
এর কয়েকদিন পূর্বে পুলিশের ওপেন হাউজ ডে’র নামে ৯নং ওয়ার্ডে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে নিয়ে সভা করেন। প্রশাসনের এমন আচরণে ভোটারদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এমতাবস্থায়, এমন পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নাই। তাই একটি অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইউএনও শেখ আবদুল্লাহ সাদীদকে প্রত্যাহার দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: ইউনুচ আলী মৃধা, কৃষকলীগের সভাপতি মো: হুমায়ুন কবির মৃধা, শ্রমিকলীগের সভাপতি খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম জীবন, সাধারণ সম্পাদক সবুজ সিকদার,সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক রবিউল আলম রনি, ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাকির হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ইউএনও শেখ আবদুল্লাহ সাদীদ বলেন, গণসংযোগের নামে গনমিছিল করায় বাঁধা দেয়া হয়েছে, পথসভায় বিঘ্ন হয়নি। আনারস প্রশ্নের জবাবে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে কোন আলামত পাওয়া যায়নি, দোকান বা গুদামজাত মালামালের জন্য কোন প্রার্থীকে দায়ি করা যায় না।
Leave a Reply