পিতা-মাতার জীবদ্দশায় পৈত্রিক ওয়ারিশি সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা বিরোধের জের ধরে অবাধ্য জেষ্ঠপুত্র কর্তৃক পিতা-মাতার দোকানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বে-আইনী জবরদখল ও দাঙ্গা-হাঙ্গামায় অতিষ্ট বৃদ্ধ মা-বাবা ও সহদর ভাইবোনরা সংবাদ সম্মেলনে করে আইনী সহায়তা দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রেসক্লাব, দুমকির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে শ্রীরামপুর ইউনিয়নের থানাব্রিজস্থ অপ্রকৃতিস্থ মো: সামসুল হক খানের স্ত্রী আফরোজা বেগম তার লিখিত বক্তব্যে নিজের গর্ভজাত জেষ্ঠ্য পুত্র আসলাম খানের বিরুদ্ধে উল্লেখিত জবরদখল, হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, বার্ধক্যজণিত কারণে সত্তরোর্ধ স্বামীর দিগশূণ্যতার সুযোগে জেষ্ঠ্যপুত্র আসলাম খান সহদর ছোট ২ভাই ও তিন বোনকে ঠকানোর হীণ উদ্দেশ্যে সম্পত্তি ও দোকান-পাঠ জবর দখল তৎপড়তা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, জীবদ্দশায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ডেকে শালিশ বৈঠকে রোয়েদাদ মূলে তাদের (স্বামী-স্ত্রী) সম্পত্তি ৩ছেলে ও ৩মেয়েকে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক ভাগবাটোয়ারা করে দেয়া হলেও সে (আসলাম) মানছে না। প্রাপ্যতার চেয়ে ৩.৫০ শতাংশ বেশী সম্পত্তি জবরদখলে ৩তলা বাড়ি নির্মাণের পরেও অপর ছেলে মেয়েদের অংশের সম্পত্তি ও দোকান দখলে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। গতবুধবার ওই দোকানে মালামাল ওঠানোর পর পরই আসলাম খানের নেতৃত্বে ৫/৬জন দুবৃত্ত আকস্মিক দোকানে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর করে ও মালামাল বাইরে বিক্ষিপ্ত ভাবে ছুড়ে ফেলে দেয়। এসময় বাধা দিতে গেলে বৃদ্ধ মায়ের সাথে উত্তেজিত ও ঔধত্যপূর্ণ আচরণ, ধাক্কাধাক্কি করে বের করে দেয়। এর আগেও কয়েক দফায় ছোট দু’ভাইকে একাধিকরা হামলা, মারধর ও মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করেছে। এ বিষয়ে আইনী সহায়তা পেতে তাৎক্ষণিক দুমকি থানা পুলিশে জানানো হলেও পারিবারিক বিরোধের কথা বলে পুলিশ রহস্যজণক কারনে অভিযোগটি আমলে নেয়নি। এতে বৃদ্ধ মা-বাবার জীবদ্দশায়ই ছোট ভাই-বোনদের সম্পত্তি জবরদখলে জেষ্ঠ্যপুত্র আসলাম খান আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। দিন দিন তার অকথ্য গালিগালাজ, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ, কথায় কথায় হামলা-মারধরের ঘটনায় পরিবারটি অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিকার পেতে উর্ধতন প্রশাসনসহ সবার সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আসলাম খানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, থানা ব্রিজস্থ দোকানে হামলা ও মালামাল ফেলে দেওয়ার ঘটনা মৌখিক ভাবে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply