পটুয়াখালী দুমকি উপজেলার ৩নং মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর মুরাদিয়া মধ্যপাড়া গ্রামে স্বামীহারা বিধবা অসহায় বিনা রানী মিত্রকে স্বামীর সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে মিথ্যা মামলা দিয়ে ভিটা মাটি দখল করার পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী অসহায় বিনা রানী মিত্র বলেন, ২৬ বছর আগে আড়াই বছরের একটি ছেলে বাদল মিত্র ও এক মেয়ে অনিমা রানী মিত্র রেখে স্বামী দুলাল মিত্র পরলোক গমন করেন। স্বামীকে হারিয়ে দুই সন্তান নিয়ে দুঃখের সাগরে ভাসছেন আজও। অন্যদিকে মৃত স্বামীর রেখে যাওয়া ভিটা মাটি দখলের উদ্দেশ্যে পাঁয়তারা করছে ভূমি দস্যু ও সন্ত্রাসী মহল। বিনা রানী জানান, স্বামী দুলাল মিত্রের মৃত্যুর পরে ওয়ারিশ নেই দেখিয়ে একটি কুচক্রী মহল আমাদের সম্পত্তি ভোগ করতে চায়। এ নিয়ে আদালতে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন ভূমি দস্যু নিলকন্ট মিত্র ও তার ভাই সুশিল মিত্র। নিলকন্টের ছেলে নির্মল মিত্র এবং তাদের সহযোগিতা দিচ্ছে জুরান মাস্টার ও তার দুই ছেলে বিকাশ দাস ও শেখর দাস মামলা চালাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে মানবতার জীবন-যাপন করছেন বিনা রানী মিত্র। তিনি আরও বলেন, লাউকাঠী ইউনিয়নের ঢেউখালীতে আর একটা বাড়ি রয়েছে। এখানে ৮০ হাজার টাকার গাছ কেটে নিয়ে বিক্রি করেছে সুশীল মিত্র ও নিলকন্ঠ মিত্র ও তার ছেলে নির্মল বাঁধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এদের মদদ দিচ্ছে জুরান মাস্টার ও তার দুই ছেলে বিকাশ চন্দ্র দাস। ঢাকা বিআইডবলিওটিএ এর একজন কর্মকর্তা হিসাবে চাকরি ও তার ভাই শেখর চন্দ্র দাস চট্টগ্রাম পোর্ট কর্মকর্তা তারা সরকারি ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদের ভিটামাটি ছাড়া করার ও জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। এভাবে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ একের পর এক শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালিয়ে আমাদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। ভূমি দস্যু নিলকন্ঠ ও সুশীল মিত্র ও নির্মল মিত্র এদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে বরিশালে মেয়ে অনিমার কাছে গিয়ে জীবন-যাপন করতে হয়। এমন অবস্থায় কোথায় যাবো? কি করবো? কিভাবে বাঁচবো? এদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে পথ খুঁজে পাচ্ছি না বলে সাংবাদিকদের সামনে কেঁদে ফেললেন অসহায় বিনা রানী মিত্র। তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে আইনের কাছে সুবিচার পাওয়ার সহযোগিতা কামনা করেন। এ বিষয়ে একই বাড়ির সুনিল মিত্র বলেন, ২০১৩ সালে ভূমি দস্যু নির্মল মিত্র জাল দলিল করেন এবং বিরেন রক্ষিত এর নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ধান কাটা নিয়ে সুনিল মিত্র মন্তোষ মিত্র সুমন মিত্র ও বিরেন রক্ষিত নিরঞ্জন নাগ ও মনোরঞ্জন নাগ এদের ৬ জনকে আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। এ ছাড়া মৃত দুলাল মিত্রের সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে ওয়ারিশ ছেলে বাদল থাকা সত্ত্বেও ওয়ারিশ নাই দেখিয়ে বিনা রানী ও বাদলের নামে মামলা দিয়েছেন সুশীল মিত্র নিলকন্ঠ মিত্র পিতা মৃত রাধা চরন মিত্র। এভাবে একাধিক মিথ্যা মামলায় মানুষকে হয়রানি করে জমি আত্মসাৎ করা এদের পেশা এরা এলাকার সন্ত্রাসী লাঠিয়াল বাহিনী ও ভূমি দস্যু।
সুনিল মিত্রের দুই ছেলে মনোতোষ ও সুমন মিত্র বলেন, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় জীবন কাটাচ্ছি। সুশীল মিত্র বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী এনে আমাদের মারার জন্য দেখিয়ে দেয়। আমি বাজারে ব্যবসা করি। রাতে একা বাড়িতে ফিরতে হয় আতংক নিয়ে। এদের হাত থেকে রেহাই পেতে আইনের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
Leave a Reply