পটুয়াখালীর দুমকীতে পারিবারিক বিরোধে মোঃ আলাউদ্দিন হাওলাদার নামের একব্যক্তিকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। গুরুতর আহতকে উদ্ধার করে স্বজনরা প্রথমে দুমকী উপজেলা হাসপাতালে ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে বুধবার বেলা ১২টায় তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার উত্তর মুরাদিয়া গ্রামের আমির হোসেনের রাস্তার মাথা এলাকার হাওলাদার বাড়িতে আলাউদ্দিন হাওলাদারের সাথে একই বাড়ির বাসিন্দা হুমায়ুন কবির গংদের পারিবারিক বিরোধ চলছিল।
পূর্ব বিরোধের জেরে গতমঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় উঠানে কাপড় শুকানোর রশি টানাতে গেলে প্রতিপক্ষরা এতে বাঁধা দেয়। এঘটনায় দু’পক্ষের লোকজন তুমুল ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের হুমায়ুন কবির, ফারুক হাং, হারুন হাং, সবুজ হাং, শাহানাজ বেগম, সাথী আক্তার ও রহিমা বেগমসহ ৮/৯জন দুর্বৃত্ত আলাউদ্দিন হাওলাদারকে কুপিয়ে জখম করে এবং তার বসতঃঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। আহত আলাউদ্দিনের ছেলে সজিব ও স্ত্রীকেও বেধরক পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের দুর্বৃত্তরা। আহতের ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা গুরুতর জখমী আলাউদ্দিনকে প্রথমে দুমকী উপজেলা হাসপাতালে ও রাত ১১টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এব্যাপারে আহতের ছেলে সজিব প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দুমকী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
প্রতিপক্ষের হুমায়ুন কবির হওলাদার জমিজমার বিরোধের সত্যতা স্বীকার করলেও কুপিয়ে জখম ও বাসা ভাংচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঝগড়াঝাটি ও হাতাহাতি হয়েছে। কিভাবে তার মাথায় আঘাত পেয়েছে তা বলতে পারেন না।
দুমকী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুস সালাম অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply