ছাত্রীর সাথে কল রেকর্ড ফাঁস ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগের মুখে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া এইচএম আনিসুজ্জামান কর্তৃক এক প্রতিবাদলিপিতে বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কে.এম. ইয়ামিনুল হাসান আলিফ এর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ জানুয়ারি কল রেকর্ড ফাঁস ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কৃষি বিভাগের বিভাগীয় সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় এইচএম আনিসুজ্জামানকে।এদিকে এ ঘটনায় আনিসুজ্জামান এক প্রতিবাদলিপিতে লিখেন “কে.এম. ইয়ামিনুল হাসান আলিফ এর ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থেকে কল রেকর্ড ফাঁস করা হয়।”
যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট,ভিত্তিহীন এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের ৪৯৯,৫০০, ৫০১ ও ৫০২ ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ নং ধারায় বর্ণিত শাস্তিযোগ্য অপরাধ উল্লেখ করে বিবৃতির মাধ্যমে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাব।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক এইচএম আনিসুজ্জামান বলেন , “নাম উল্লেখ করা আমার ভুল হয়েছে। ”
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সভাপতি তারিক লিটু বলেন, ” শুধু ভুল স্বীকার করে নিলেই একজন সংবাদকর্মীর মানহানির সুরাহা হয় না। এ বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে সাংগঠনিক ও আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে। ”
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কে.এম. ইয়ামিনুল হাসান আলিফ বলেন, “বিষয়টি দুঃখজনক। উনি যদিও ভুল স্বীকার করেছেন। তবুও একজন শিক্ষক হিসেবে একজন শিক্ষার্থীর নাম ব্যবহার করে অপপ্রচার চালানো ঠিক হয়নি।”
এ বিষয়ে আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়ে সারাদেশের ক্যাম্পাস সাংবাদিক সংগঠনদের সম্মিলিত সংগঠন ‘ইউনিভার্সিটি জার্নালিস্ট ফোরাম ‘ এর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, “এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।অভিযুক্ত শিক্ষক তার মন্তব্যের বিষয়ে লিখিতভাবে ক্ষমা না চাইলে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। ”
প্রসঙ্গত, গত ২০ জানুয়ারি ছাত্রীর সঙ্গে একটি কল রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর এইচএম আনিসুজ্জামান এর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে লিখিত দেন শিক্ষার্থীরা। একই ঘটনায় এইচএম আনিসুজ্জামান এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলও করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
Leave a Reply