চার বছর ধরে পদোন্নতি আটকে রাখার অভিযোগে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকে তালা দিয়েছেন এক শিক্ষক। মঙ্গলবার সকালে তালা ঝোলানোর পর তিনি ভবনটির সামনে অবস্থান নেন কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ড. এম আবদুল আলীম। তিনি বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান।
প্রশাসনিক ভবন তালাবদ্ধ থাকায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী অফিসে ঢুকতে পারেননি। পরে উপাচার্য অধ্যাপক হাফিজা খাতুন ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এস এম মোস্তফা কামাল খানের উপস্থিতিতে তালা ভাঙা হয়। তখনও প্রশাসনিক ভবনের সামনে ছিলেন আবদুল আলীম। পরে তাঁর সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষার্থী যোগ দেন।
আবদুল আলীম বলেন, চার বছর ধরে অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে তাঁর পদোন্নতি আটকে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ৬৫তম রিজেন্ট বোর্ডে তাঁকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা করা হয়নি। এর প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তিনি তালা ঝুলিয়ে দেন।
তাঁর অভিযোগ, প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক এম রোস্তম আলী পদোন্নতি আটকে রেখে গেছেন। পদোন্নতির সব শর্ত পূরণ হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মহলের চক্রান্তে তাঁকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। আগের উপাচার্যের সময় তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছিল ওই উপাচার্য থাকার সময়ই সেসব অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়। ষড়যন্ত্রকারীরা বর্তমান উপাচার্যকে ভুল বুঝিয়ে পদোন্নতি আটকে দিয়েছে। এভাবে ১৫ জনের পদোন্নতি আটকে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক হাফিজা খাতুন কথা বলতে চাননি। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা সবার সুখ-দুঃখের কথা শুনতে চাই। কিন্তু সময়-অসময় বলে তো কিছু আছে; সেটা অধ্যাপক আবদুল আলীমকে বুঝতে হবে।
Leave a Reply