পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অবৈধভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার হরণ করে হল দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে।
উল্লেখ্য যে গত ১৩ফেব্রুয়ারি হলের শূণ্য আসনগুলোর সাপেক্ষে সিটের জন্য আবেদন করার অফিশিয়াল নোটিস আসে। তখন থেকেই আনঅফিশিয়ালি হলের সিটগুলো দখল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে হায়দার আলী আকাশ, জাহিদ হাসান মামুন, আশরাফুল ইসলাম, জাহিদ হাসানসহ ক্যাম্পাসের অনিয়মিত ছাত্র, নকলের দায়ে বহিষ্কার, মাদক ইত্যাদি কালিমাযুক্ত একটা গ্রুপ। এদের ছত্রছায়ায় ইতোপূর্বেও বহিরাগত কর্তৃক টিজিং, মাদক সেবন, হুমকিধামকি ইত্যাদি প্রভূত অভিযোগ বিদ্যমান।
ইতোপূর্বে ক্যাম্পাসের সবচেয়ে সিনিয়র ব্যাচের কেউ টুইস্ট হল থেকে শূণ্য সিটের সাপেক্ষে ফাইবার হলে স্থানান্তরিত হবার রীতি আছে। সেই রীতি ধরেই ১৪ তারিখ ক্যাম্পাসের দুইটি চালু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠণের সভাপতি টুইস্ট হল থেকে ফাইবার হলের ১০১ নং রুমে আসে। ঠিক লাঞ্চ টাইমে তাদের সকল মালমাল হলের বাইরে ফেলে দেয় হায়দার আলী আকাশ, আশরাফুল, মেহেদী, জাহিদ মামুন, জাহিদ হাসান সহ ক্যাম্পাসের সকল দূষ্কৃতিকর্মের কলঙ্কবিশিষ্ট গ্রুপটি। তখন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন অনিক ক্যাম্পাস প্রশাসনকে হলের ব্যাপারে সবকিছু কয়েকদিন স্থগিত রেখে আলোচনার পর ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধ জানান।
তারই ধারাবাহিকতায় সবচেয়ে জুনিয়র ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশেষ প্রয়োজনীয়তার তাগিদে টুইস্ট হলের ২০২ নং রুমের বাসিন্দারা উপস্থিত থাকার পরেও তাদের অনুরোধ করে অস্থায়ী আশ্রয় নেয়। এরকম ভাতৃত্ববোধই অত্র ক্যাম্পাসের ঐতিহ্য
তবে এই খবর পাওয়া মাত্রই আজ রাতে আকাশ,জাহিদ মামুন, আশরাফুল, জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত বহিরাগত উঠতি ভাড়াটে সন্ত্রাসী,অছাত্র,মাদকসেবীদের নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। মধ্যস্থতা করতে গেলে কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন অনিক জাহিদ মামুনের পিস্তলের গুলিতে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ। সদর হাসপাতালে এ নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে।
সন্ত্রাসীদের সর্বোচ্চ দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনা এখন ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবী সংগঠণেগুলোর নেতাকর্মীসহ সকল সাধারণ শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি। পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ, সিনিয়র-জুনিয়র সম্প্রীতির ইতিহাস নষ্ট হতে পারেনা। একালের কতিপয় অছাত্র, মাদকসেবীদের সাথে বহিরাগত টোকাইদের অভয়ারণ্য এই প্রাণের ক্যাম্পাসকে হতে দেয়া যায়না। সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ তাদের হলের নায্য অধিকার চায়।
Leave a Reply