সাবেক ভূমি মন্ত্রী ও পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুতে পাবনা-৪ (আটঘরিয়া – ঈশ্বরদী) আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। এ আসনে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠে আছেন প্রায় ডজনের বেশি আওয়ামীলীগ নেতা।এবার এই আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নায়েব আলী বিশ্বাস।
ঈশ্বরদীতে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলনকারী এই নেতা ঈশ্বরদী ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতিও ছিলেন।ছাত্রলীগ -যুবলীগ শেষে দীর্ঘদিন ধরে হাল ধরে রেখেছেন ঈশ্বরদী আওয়ামীলীগের। নানা চড়াই-উৎরাই পাড়ি দেওয়া এই বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা আসন্ন উপনির্বাচনে চান তার কাজের প্রতি সুবিচার।
তার সাথে কথা হলে তিনি জানান ১৯৫৫ সালে সাড়া মাড়োয়ারি স্কুলে পড়া অবস্থায় চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী আসলে তিনি ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে যোগ দেন।পরবর্তীতে সাড়া মাড়োয়ারি স্কুলে ছাত্রলীগের কমিটি হলে উক্ত কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।এরপর ঈশ্বরদী কলেজ ছাত্রলীগেরও প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি নির্বাচিত হোন।১৯৬২ সালের শিক্ষা কমিশনের আন্দোলনে অংশ নেয়ার পাশাপাশি ৬৬’র বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।এরপর ১৯৭০ সালের নির্বাচনে এই এলাকার দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করতে তার অবদান ছিলো সবচেয়ে বেশি।
৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নেন তিনি।মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে এসে প্রতিষ্ঠাকালীন যুবলীগ গঠনেও ছিলো তার সক্রিয় অবদান। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর গ্রেফতার হোন এই বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা।
দীর্ঘদিন পর জেল থেকে বেরিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হোন।এখন তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিএনপি জামায়াতের অপরাজনীতি মোকাবেলা ও সরকার ক্ষমতা অবস্থায় দলকে সুসংগঠিত রাখায় তার অবদান বিবেচনায় আসন্ন উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ঈশ্বরদী উপজেলার এই নেতা।
এদিকে সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতা হিসেবে তার পরিচিতি থাকায় দলীয় কর্মীরাও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নায়েব আলী বিশ্বাসের মূল্যায়ন দাবী করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
Agree for application.he is an honesty