পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ শোক র্যালি বের করা হয়। শোক র্যালিটি প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে স্বাধীনতা চত্বরে এসে শেষ হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা খান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহউদ্দিন স্বাধীনতা চত্বরে বুদ্ধিজীবী দিবসের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এরপর এক এক করে বিভিন্ন বিভাগ এবং দপ্তরের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়।
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্মের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, বুদ্ধিজীবী দিবসে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেটি একদিনে সংগঠিত হয়নি। এটি দীর্ঘ পরিকল্পনার ফসল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়েছে, এখনও হচ্ছে। পঁচাত্তরের জাতির পিতা এবং তার পরিবারের হত্যাকাণ্ড, জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের সবগুলোই ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকারীদের দোসরদের দ্বারা সংগঠিত।
তিনি আরো বলেন, আজকের এই সময়েও আমরা ভালো নেই। বিভিন্ন জায়গায় যারা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করে তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে, তাদের ওপর হামলা হচ্ছে। একটা শ্রেণির মানুষ চাচ্ছে মুক্ত বুদ্ধির চর্চাকে বন্ধ করে দিতে। কিন্তু মুক্তবুদ্ধির চর্চা বন্ধ করে দিলে আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে না।
এ সময় আরো বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা খান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহউদ্দিন।
আলোচনা শেষে বুদ্ধিজীবী দিবসসহ সব শহিদদের জন্য দোয়া করা করা হয়।
এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানগণ, হলের প্রভোস্ট, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, পরিবহন প্রশাসক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply