দেশের উত্তরের জনপদ ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জে শীতের তীব্রতা বেড়েছে অনেক গুণ। এতে চরম দূর্ভোগে পরেছে অসহায় শীতার্ত পরিবার গুলি। বিশেষকরে পীরগঞ্জ উপজেলার রেলওয়ে স্টেশন, লাচ্ছি নদীর ধার দিয়ে গড়ে উঠা অসহায়, ছিন্নমূল ও আদিকাল থেকে বসবাস করে আসা পূর্ব-পাড়িয়া গ্রামের বেশ কিছু আদিবাসী পরিবার।
শীতে একটু উষ্ণতার জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত বস্ত্র না থাকায় কনকনে শীতের রাতে ঘুমাতেও পারছেনা তারা। রাতে ঘুমাতে না পেরে দিনের বেলা উঠানে খড় বিছিয়ে সূর্যের তাপনিয়ে ঘুমানোর চেষ্টাও করছে অনেকে। কোনো কোনো দিন ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো না আসায় কষ্ট যেন দ্বীগুনেরও বেশী হয়ে যায় এখানে। শিশুদের দিকে তাকালে বোঝা যায় জীবন কতটা নির্মম তাদের জন্য। শীতের এ সময় তেমন কোনো কাজ না পাওয়া দিনমজুর ও অসহায় আদিবাসী পরিবার গুলোর দিকে তাকানোর কেউ নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে- অসহায় ও আদিবাসী পরিবার গুলির শীতে বেহাল দশা। পীরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এর আশপাশ, লাচ্ছি নদীর ব্রীজের উত্তরের কিছু ছিন্নমুল পরিবার ও পাড়িয়া গ্রামের বেশ কিছু আদিবাসী পরিবার বস্ত্র, নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যহীনতায় ভুগছে। যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করে পরিবেশ দূর্ষণও করছে অনেকে।
নাম জানাতে অইচ্ছুক দুইজন আদিবাসী জানায়, তাদের পাড়িয়ার পশ্চিম দিকের পাড়াটি পৌরসভার নিকটে হওয়ায় কোনো সুযোগ সুবিধা এলে ঐ পর্যন্তই দেয়া হয়। পূর্ব পাড়িয়ায় কেউ আসে না।তারা ৬ নং ইউনিয়ন পরিষদ এর অধিনে।তারা ৫ টি পরিবার মিলে একটি টিউবওয়েল ব্যবহার করে। তাদের এই দুর্দশার সময় কিছু শীতবস্ত্র ও টিউবওয়েল দিয়ে কেউ পাশে দাঁড়ালে খুব উপকৃত হতো বলে জানায়। এ বিষয়ে ৬ নং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহাবুব আলমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “ঐখানকার তিনজন মহিলাকে কম্বল দেয়া হয়েছে এবার। টিউবওয়েল যদি বরাাদ্দ সরকার থেকে পাই তবে দেয়া হবে।”
এসব অসহায় আদিবাসী ও শীতার্তদের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে কোনো সাহায্যের ব্যবস্থা আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজাউল করিম বলেন, “আমরা ইতি মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে কম্বল বিতরণ করেছি প্রয়োজনে খোঁজ নিয়ে আরো দেওয়ার চেষ্টা করবো।”
Leave a Reply