ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ১১নং বৈরচুনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের ৪৬’ মাসের ভাতা আত্মসাৎ করার অভিযোগে অনাস্থা আনায়ন করেছে ১১’জন ইউপি সদস্য।
এই ভাতা বঞ্চিত ইউপি সদস্যরা ৪৬’মাসের ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারা ভাতার টাকা ও বিভিন্ন বরাদ্দের হিসাব চাইতে গেলে বিভিন্ন ভাবে তাদের লাঞ্ছনা ও গালাগালি করারও অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, ২০১৮ সালে দুই বছর সম্মানি ভাতা প্রদান না করায় এই ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনাস্তা আনায়ন করেন ১২’জন ইউপি সদস্য কিন্তু উপজেলার ৯ নং সেনগাঁও ও ১০ নং জাবরহাট ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যানের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিতে সময়মত ভাতা প্রদান ও সুষ্ঠ ভাবে ইউনিয়ন পরিচালনা করবেন বলে চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের লিখিত অঙ্গীকার করলে অনাস্থার আবেদনটি প্রত্যাহার করেন ইউপি সদস্যরা। কিন্তু সেই চেয়ারম্যান ১’ মাসের ভাতা প্রদান করে আর কোন ভাতা দেননি ইউপি সদস্যদের। এদিকে ৫’বছর ক্ষমতা শেষের দিক ঘনিয়ে এলেও ভাতা না পেয়ে ইউপি সদস্যরা বেশ হতাশায় ভুগছেন।
বকেয়া ভাতা পরিশোধের দাবিতে গত ৪(এপ্রিল) রবিবার আবারো চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছেন ভাতা বঞ্চিত ১১জন ইউপি সদস্য। এই অসহায় ভাতা বঞ্চিত ইউপি সদস্যরা যেন প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের বকেয়া ভাতা পায় এটাই ইউপি সদস্যের প্রানের দাবী। ভাতা বঞ্চিত ইউপি সদস্য আতাউর রহমান, আফজাল হোসেন,অজয় রায়,ফজলুল হক,মলেন চন্দ্র রায়,আজগার আলী,আনসারুল ইসলাম, মজিবর রহমান বলেন, আমাদের ইউপি সদস্য প্রতি ২লক্ষ ২ হাজার ৪’শ টাকা ভাতা পাবো কিন্তু ইউনিয়নে পর্যাপ্ত আয় হলেও আমাদের টাকা দিচ্ছে না চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন। বরং আমাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন তিনি। সেই সাথে বিভিন্ন বরাদ্দের হিসাব চাইতে গেলে হিসাব না দিয়ে গালিগালাজ করেন তিনি।
এ বিষয়ে ১১ নং বৈরচুনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন মুঠোফোনে জানান,ইউনিয়ন পরিষদ ফান্ডে টাকা নেই আমি কি করবো।এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আখতারুল ইসলাম বলেন,আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply