মামলার এজাহারে বলা হয়েছে গত ২১ জুলাই উজানটিয়ার গোদারপাড় স্টেশনে আসামীরা বাদীকে মারধর করে নগদ এক লক্ষ টাকা ও ১২ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. ইব্রাহীম বলেন, গত ১৯ জুলাই মুমিনুল হক নুরীর পাড়া মসজিদের মুয়াজ্জিন নুরুল হক কে মারধর করে। এর দু’দিন পরে মুমিনুল হক আমার দোকানে চা খেতে আসে। ওই সময় সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মুয়াজ্জিনকে মারধরের ব্যাপারে জানতে চায়। তখন দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা দু’জনকে দুইদিকে নিয়ে যায়।
এদিকে সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চুরির মামলা রুজু হওয়াকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছে আওয়ামিলীগের নেতাকর্মীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছেন তাঁরা।
মামলায় আসামী হওয়ার ব্যাপারে শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ইন্ধনে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতেই এমন নিচু মানের কাজ করেছে প্রতিপক্ষরা। তিনি আরও বলেন, মুমিনুল হক একজন দিনমজুর। দিনে এনে দিনে খায়।তাঁর আয় সম্পর্কে এলাকাবাসী জানে। তাঁর কাছে নগদ এক লক্ষ টাকা সাথে থাকাটা সবার মনে প্রশ্নের জোগাবে।
মামলায় ৪নং আসামী আবদু রহমান জয়ের দাবী ঘটনার দিন সে চট্টগ্রামে তাঁর কর্মস্থলে ছিলেন। তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামী করা হয়েছে বলে জানান। এব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরহাদ আলী বলেন, বাদীর এজাহারের ভিত্তিতে তদন্ত করে মামলা রুজু করা হয়েছে। এরপরেও ঘটনার সাথে যুক্ত নয় এমন কেউ আসামী হলে তাঁদেরকে বাদ দেওয়া হবে।
Leave a Reply