‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিকই বলছেন। ফরিদপুরের মাটি খাঁটি মাটি। এ মাটির মানুষ কখনো বেঈমানি করেনা। তারা সন্ত্রাস-চাঁদাবাজকে কখনো প্রশ্রয় দেয়না। আর এ কারণেই এ মাটির মানুষ ৭ জানুয়ারি ঈগল প্রতীকে ভোট দিয়ে ফরিদপুর গড়ার লক্ষ্যে রায় দিবে। ৭ তারিখ হবে আমাদের পূর্ণ বিজয়। সেদিন হবে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত ফরিদপুরবাসীর মুক্তির দিন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ স্মরণকালের সুবৃহৎ এক জনসভায় বক্তব্যকালে একথা বলেন। শহরের রাজেন্দ্র কলেজের মাঠে আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভা বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় সভা শুরু হয়। তবে বেলা ১২টার হতে সেখানে জনসমাগম হতে থাকে। দুপুর ২টার পর কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে জনসমুদ্রে রুপ নেয় জনসভার মাঠ। মাঠ উপচে ভীড় বাড়তে থাকে আশেপাশের এলাকায়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য বিপুল ঘোষ।
এ সময় এ কে আজাদ বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে আমি দলের সাথে ছিলাম। ২০০৭ সালে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নামে মামলা করার পর আমাদের নামেও হুলিয়া জারি হয়েছিলো। তখন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে বলা হয়েছিলো শেখ হাসিনার নামে মামলা করলে তোমাদের কিছু বলা হবেনা। কিন্তু ওই মামলার কাগজে স্বাক্ষর না করায় আমার ছোট ভাইকে ধরে নিয়ে যায়। আমার স্ত্রীর নামে ১১টি মামলা দেয়। আমার নামে ২২টি মামলা করে। এভাবে অনেক নির্যাতন সহ্য করেও নেত্রীর জন্য কাজ করে গেছি। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মোদাসসের হোসেন, মতিয়া চৌধুরী তার সাক্ষী।
তিনি বলেন, আমার জীবনে এতোবড় জনসভায় আমি কখনো বক্তৃতা দেইনি। এটি সম্পূর্ণই আপনাদের ভালোবাসা। বিজয়ী হলে আমি প্রত্যেকটা এলাকায় ট্রেনিং সেন্টার করবো যাতে প্রশিক্ষিত করে তুলে বেকারদের চাকরির ব্যবস্থা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম অবদান পদ্মা সেতু। আমরা পদ্মার এপাড়ে কয়েকশো বিঘা জমি কিনেছি। সেখানে শিল্প-কারখানা গড়বো। কেউ যাতে কর্মহীন না থাকে।
সভায় বক্তব্যকালে এ কে আজাদের ভাই মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরুর পরে তারা যেসব হামলা করেছে, সেগুলো শুধু কর্মী-সমর্থকদের উপরে করে নাই, তারা আমার উপরে, আমার ভাই এ কে আজাদের উপর হামলা করেছে। আমাদের গায়ে হাত দিয়েছে। তিনি বলেন, মাত্র দুইশো লোকের কাছে ফরিদপুরের লাখ লাখ মানুষ জিম্মি হয়ে থাকতে পারেনা। ৭ তারিখে আমরা প্রমাণ করবো ফরিদপুরবাসী
ইসমাইল হোসেন বলেন, আল্লাহতায়ালা তার অসীম দয়ায় আমাদের পরিবারকে যা দিয়েছেন, আমাদের টেন্ডারবাজি করতে হবেনা, চাঁদাবাজি করতে হবেনা। আমরা শুধু আপনাদের জন্য কিছু করতে চাই।
সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মিসেস শারমীন আজাদ শাম্মী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল হক ভোলা মাস্টার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জাহিদ, পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান মিঠু, সাবেক পৌর মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি মাসুদ, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান খন্দকার লেভি, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির, বদিউজ্জামান বাবুল প্রমুখ।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খলিফা কামালউদ্দিন, গ্রুপ ক্যাপ্টেন ইদ্রিস আলী, পরিবহন ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম মুকুল, হামীম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন, এ কে আজাদের নির্বাচন সমন্বয়কারী শোয়েবুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা।
Leave a Reply