ফরিদপুর সদর উপজেলার ভারোতী রানীর নিজ বাড়ীতে গড়ে তুলেছেন দেশিও চোরাই মদের কারখানা । তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বারবার তাকে গ্রেফতার করলেও জেল থেকে বেরিয়ে এসে আবার শুরু করেন তার ব্যবসা, এতে করে গভীর রাত পর্যন্ত প্রকাশ্যে মদ বিক্রি করায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। ফলে দিনভর মদের বিকট গন্ধে পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এদিকে রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, সাংবাদিক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে প্রতি মাসে অবৈধ ভাবে মদ তৈরি করে যাচ্ছেন তিনি।এদিকে অনুমোদবিহীন ব্যাক্তিদের কাছে মদ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপরদিকে বিভিন্ন স্থানে এসব চোরাই মদ বিক্রি হওয়ায় জেলায় প্রতিনিয়ত মাদকসেবীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী টিম সরজমিনে গিয়ে ভারোতী রানীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আশা ব্যাক্তিরা মদ পান করছে এবং কিছু সময় পর পর প্লাস্টিকের বতলে মদ নিয়ে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন স্থানে । এছাড়াও তার বাসাতে বসেই খোলা অবস্তায় উঠতি বয়সের একাধিক যুবক প্রকাশ্যে দাড়িয়ে বোতলে মদ পান করলেও তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে না। তবে যুবসমাজসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যাক্তিদের নিকট (অনুমোদনবিহীন) পলিথিনের প্যাকেট ও প্লাস্টিকের বতলে মদ দিয়ে থাকেন। এবিষয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা পরিদর্শক এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় ।
Leave a Reply