গত বছরের ৭ ই ফেব্রুয়ারি যখন ফরিদপুরে প্রথম কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয় তখন থেকেই রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।বর্তমানে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম সমন্বয় করে ফরিদপুর জেনারেল হসপিটালে এই সেবা দিয়ে যাচ্ছে।সুশৃংখলভাবে মানুষকে লাইনে দাঁড়ানো, তারিখ ও মেসেজ পরীক্ষা করা সহ বিভিন্ন ভাবে তারা মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছে।
রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করতে গিয়ে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।তবে তারা আবার সুস্থ হয়েই স্বেচ্ছাশ্রমে ফিরেছেন। এই কাজ করতে গিয়ে পরিবার থেকে কোন ধরনের বাধা পাচ্ছেন কিনা এই বিষয়ে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্য আখি আক্তার এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ” যখন থেকে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমে কাজ করে যাচ্ছি তখন থেকেই পরিবারের থেকে শতভাগ সাপোর্ট করে যাচ্ছেন,পরিবারের লোকজনও খুশি মানুষের পাশে থাকতে পেরে”।
সকাল ৯ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত কার্যক্রম চললেও তাদের এর আগেই এসে উপস্থিত থাকতে হয়।প্রথমদিকে ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষের সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে দম ফেলার ফুরসত নেই।এই কারনে প্রতিদিনই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।সার্বিক বিষয় নিয়ে জানাতে চাইলে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ফরিদপুর জেলা ইউনিটের যুব প্রধান শাহিন শিকদার আপন বলেন “গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড চাপ গেল বর্তমানে সকল সদস্যরা আমরা খুশি অনেক মানুষ একসাথে ভ্যাকসিন নিতে পারছে।” এরপর তিনি আরো আশা ব্যক্ত করে বলেন শেষ পর্যন্ত তারা এই স্বেচ্ছাশ্রম চালিয়ে যেতে চান।
Leave a Reply